যথাযথ শ্রদ্ধায় জাতীয় শোক দিবস ২০১৮ এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৪৩তম শাহাদত বার্ষিকী পালন

420

বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন মুম্বাই, আজ ১৫ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস ২০১৮ এবং স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সপরিবারে হত্যার ৪৩তম শাহাদত বার্ষিকী যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালন করে। এ উদ্দেশ্যে উপ-হাইকমিশন একটি স্থানীয় পাঁচ তারকা হোটেলে বিশেষ স্মরণসভা ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মুম্বাইস্থ বাংলাদেশের উপ হাইকমিশনার জনাব মোঃ লুৎফর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করনের মাধ্যমে দিবসটি উদ্যাপন শুরু করেন। তিনি উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ও উপহাইকমিশনের সদস্যবৃন্দদের নিয়ে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ১৫ই আগষ্ট ১৯৭৫ এ শহীদ বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকলের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

এরপর জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। বাণীপাঠের পর উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের অংশগ্রহনে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা সকলেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কীর্তিময় জীবন ও একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তাঁর অসামান্য কৃতিত্ব তুলে ধরেন। তাঁরা ১৫ই আগষ্ট ১৯৭৫-এ বর্বর হত্যাকান্ডের প্রতি তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। শ্রদ্ধেয় উপ-হাইকমিশনার তাঁর বক্তব্যে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে বঙ্গবন্ধুর একক এবং অসাধারন নেতৃত্বের কথা স্মরণ করেন। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশ^শান্তি ও মানবতার কল্যাণে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য ভূমিকার উপর তিনি আলোকপাত করেন। সকলকে বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম দেশপ্রেম ও প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে তিনি উদাত্ত আহ্বান জানান। অংশগ্রহনকারী সকল বক্তাগণ বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাঁদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং বাংলাদেশের চলমান অগ্রগতির প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহনকারী ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য লেঃ জেনারেল কুলদীপ ব্রার এবং অবসরপ্রাপ্ত মেজর উদয় সাটে এ আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন। স্মরণসভার শেষ পর্বে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র ”সোনালী দিনগুলো (ঞযড়ংব এড়ষফবহ উধুং)” প্রদর্শন করা হয়।

স্মরণসভায় উপ-হাইকমিশনের সকল সদস্য, তাঁদের পরিবারবর্গ, স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, ডিপ্লোম্যাটিক কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ, শিক্ষাবিদ ও প্রবাসী বাংলাদেশীরা অংশ নেন। অনুষ্ঠান শেষে সকলকে মধ্যাহ্নভোজে আপ্যায়িত করা হয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.