সিঙ্গাপুরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু’র ৪৩-তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস পালিত
বাংলাদেশ হাই কমিশন, সিঙ্গাপুরের উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৩-তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। দিনব্যাপী কর্মসূচীর শুরুতে সিঙ্গাপুর প্রবাসী বাংলাদেশী এবং হাই কমিশনের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণ করা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকদের বুলেটে নিহত বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অতঃপর শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা ও দেশের সুখ সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বঙ্গবন্ধু সরকারের সাড়ে তিন বছরের কর্মকান্ডের উপর ”সোনালী দিনগুলো” শিরোনামে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ও দর্শন এর উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার শুরুতে দিবসটি উপলক্ষে জাতির উেেদ্দশ্যে প্রদত্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
আলোচনা সভায় সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সহ বিভিন্ন বাংলাদেশী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা বাংলাদেশের স্বাধীতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য ভুমিকা এবং দেশের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের কথা শ্রদ্ধাচিত্তে স্মরণ করেন। তারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতের বর্বর হত্যাকান্ডের নিন্দা জ্ঞাপন করেন।
হাই কমিশনার জনাব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান তার বক্তৃতায় বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও সোনার বাংলা বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে খুনীরা এদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভুলুন্ঠিত করতে চেয়েছিল, কিন্তু তাদের সে চেষ্টা সফল হয়নি। বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে ও বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জন করেছে এবং অধিধকতর উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। হাই কমিশনার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।