সোসাইটির অনিয়ম রোধেই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি
বাংলাদেশ সোসাইটির আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ সোসাইটি দেশের পতাকাবাহী প্রবাসী বাংলাদেশীদের সামাজিক সংগঠন। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সকল বাংলাদেশীদের মান-সম্মান এই সংগঠনের সাথে জড়িত। কিন্তু সোসাইটির অনিয়ম দিনে দিনে নিয়মে পরিণত হচ্ছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা শত চেষ্টা করেও সোসাইটিকে সত্যিকারের গণমুখী তথা প্রবাসীদের সংগঠণে পরিণত করতে পারছি না। তাই সোসাইটির অনিয়ম রোধেই আগামী নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থী হচ্ছি। বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও দুইবারের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওসমান চৌধুরী এই কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, পত্রিকার খবরের মাধ্যমে জানতে পারিলাম যে এবার অর্থ সাশ্রয় করতে ভোটারদের চিঠি দেয়া হবে না। এটি ঠিক হবে না। ভোটারদের চিঠির মাধ্যমে অবশ্যই তাদের ভোটার নম্বর জানানো উচিত। ইতিপূর্বের নির্বাচনেও তাই হয়েছে। বাংলাদেশ সোসাইটির Election By Laws Art.-Section B: Notices for election with nomination papers and election rules shall be mailed by the Election Commission to the members at least forty five days before the election date with the designated forms, the samples of which shall be submitted to the chairman of the commission by the EC and that these forms have been approved, at a prior time, in the EC meeting.
এছাড়া নির্বাচন কমিশণ ঘোষিত ‘নির্বাচনী প্যাকেজ’ এর মূল্যও বেশী। যাতে সবাই অংশ নিতে না পারেন সে জন্যই একটি মহলের ইঙ্গিতে নির্বাচন কমিশন এতো মোটা অংকের অর্থ ফি ধার্য করেছেন। ইতিপূর্বে কোন নির্বাচনেই এতো ফি ধার্য্য ছিলো না।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আমি ভোটার কিনা তা কিভাবে জানবো। ইতিপূর্বে সোসাইটির সকল নির্বাচনের আগে মেইলিং চিঠিতে ভোটার নম্বর নিশ্চিত করা হতো এবং ভোটারের কাছে রিসিট আছে। তাছাড়া কারো বাসায় যদি কম্পিউটার না থাকে, তাহলে অনলাইনে কি করে ভোটার আইডি সে বের করবে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনে নির্বাচনী বাই ল’স মানা হচ্ছে না। এই দায়-দায়িত্ব বহন করবে কে? অথচ সোসাইটি ‘নট ফর প্রফিট’ সংগঠন। অপরদিকে নির্বাচন কমিশন আগে ভাগেই কি করে ভাবলেন যে নির্বাচনের সময় জাল আইডি ব্যবহার করা হবে এবং পুলিশের কাছে সোপর্দ করার কথা। আর ক্যামেরা বসিয়ে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় সোসাইটির অর্থ অপচয় ছাড়া আর কিছু নয়। নির্বাচন কমিশন ভোটারের স্বাক্ষর ভেরিফাই না করে ডাবল আইডি চেক করার বিষয়টি হাস্যকর ব্যাপার বলে তিনি মন্তব্য করেন এবং নির্বাচন কমিশনের এসব সিদ্ধান্ত ভোটারদের হয়রানি বাড়াবে বলে জানান।
এই সব অনিয়মের জন্য ইতিমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি এবং ট্রাষ্টি বোর্ড চেয়ারম্যান মহোদয়ের বরাবরে লিখিত অভিযোগ বাই মেইল এর মাধ্যমে প্রদান করা হয়েছে।