অটোয়া ফোবানা সম্মেলন ১-২ সেপ্টেম্বর
নিউইয়র্ক : যুক্তরাষ্ট্রের লেবার ডে উইকেন্ডে অর্থাৎ আগামী ১-২ সেপ্টেম্বর কানাডার রাজধানী অটোয়ায় ফোবানা সম্মেলন-২০১৮ অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য ইতিমধ্যেই মিলনায়তন ভাড়া সহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সম্মেলনের স্বাগতিক সংগঠন হচ্ছে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব কানাডা, অটোয়া। এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী এম এ মুহিত। সম্মেলনের কর্মকান্ডের মধ্যে দেশ ও প্রবাসের শিল্পীদেও পরিবেশনা ছাড়াও থাকবে সেমিনার, মিস বাংলাদেশ, মিস ফোবানা, ট্যালেন্ট শো প্রভৃতি। অটোয়া সম্মেলন সফল করতে সবার সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। খবর ইউএনএর।
নিউইয়র্কে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে অটোয়া ফোবানা সম্মেলনের কর্মকর্তারা উপরোক্ত কথা বলেন। ৭ আগষ্ট মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের খাবার বাড়ী রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত কর্মকর্তাদের পরিচয় করিয়ে দেন ফোবানা (একাংশ)-এর স্টীয়ারিং কমিটির মেম্বার সেক্রেটারী কাজী আজম। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফোবানার স্টীয়ারিং কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট আলী ইমাম।
সাংবাদিক সম্মেলনে অটোয়া ফোবানা সম্মেলনের প্রস্তুতি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন ফোবানা’র সাবেক চেয়ারম্যান এজাজ আক্তার তৌফিক এবং বক্তব্য রাখেন অটোয়া ফোবানা’র আহ্বায়ক সুলতানা শিরীন সাজি, মেম্বার সেক্রেটারী সাঈদ ইসলাম খোকন ও চীফ কো অর্ডিনেটর জলফিকার রহমান ফুলু।
পরবর্তীতে উপরোক্ত কর্মকর্তা সহ প্রশ্নোত্তর পর্বে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ফোবানা’র সাব্কে চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন খান। এসময় ফোবানা’র কর্মকর্তাদের মধ্যে আতিকুর রহমান ইউসুফজাই সালু, নিশান রহীম, কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন, ওয়াহিদ কাজী এলিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে আলী ইমাম বলেন, গত বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালের টরন্টো ফোবানা সম্মেলন থেকে চলতি বছর অটোয়ায় সম্মেলনের সিদ্ধান্ত হয়। তিনি বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ ফোবানা সম্মেলন চাই। এজন্য ড. সিদ্দিকুর রহমান ও ড. শাহজাহান মাহমুদেও উপস্থিতিতে চলতি বছরে ৪ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত ঐক্যের সভা কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং আগামী বছর ফোবানা ঐক্যবদ্ধ হবে বলে প্রত্যাশা করেন।
এজাজ আক্তার তৌফিক বলেন, কানাডার রাজধানীতে প্রথবারের মতো ফোবানা সম্মেলন হতে যাচ্ছে। এর আগে অটোয়ায় কোন সম্মেলন হয়নি। আমরা সবাই মিলে এই সম্মেলন সফল করতে চাই। সুলতানা শিরীন সাজি বলেন, কানাডার অটোয়ায় পার্লামেন্ট সহ এখানে অনেক কিছুই দেখার রয়েছে। অটোয়ায় বাংলাদেশীদের বসতির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তারার ফোবানা সম্মেলনের ব্যাপারে আগ্রহী। আমরা সবাইকে সাথে নিয়ে এই সম্মেলন সফল করতে চাই।
সাঈদ ইসলাম খোকন বলেন, সবার সহযোগিতায় আমরা অটোয়ায় একটি সুন্দর সম্মেলন উপহার দিতে চাই। এজন্য ফোবানা’র স্টীয়ারিং কমিটির কর্মকর্তাদের নিয়ে ইতিপূর্বে অটোয়া পরামর্শ সভা হয়েছে। তাদের পরামর্শ আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।জুলফিকার রহমান ফুলু অটোয়াবাসী বাংলাদেশীদের পক্ষ থেকে ফোবানা সম্মেলনে উত্তর আমেরিকার সকল বাংলাদেশীকে আমন্ত্রণ জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে মোহাম্মদ হোসেন খান বলেন, বলতে দ্বিধা নেই যে বিভক্তির কারণে ফোবানা’য় স্থবিরতা বিরাজ করছে। কিস্তু কেন, কোন কারণে ফোবানা’য় বিভক্তি তা আমরা সবাই জানি। তবে আমরা ঐক্য চাই। তিনি বলেন, ফোবানা সম্মেলন নিয়ে ব্যর্ততার পাশাপাশি সফলতাও রয়েছে। তবে নতুন প্রজন্মকে ফোবানায় যথাযথভাবে সম্পৃক্ত করতে পারিনি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাথে প্রবাসীদের সেতু বন্ধনের জন্য ফোবানা’র জন্ম হলেও সময়ের প্রয়োজনে ফোবানার লক্ষ্য উদ্দেশ্যও পরিবর্তিত হয়েছে। তিনি বলেন, সত্যিকারে ফোবানায় আমাদের অর্জন ‘শূন্য’ হলেও উত্তর আমেরিকায় আজ বড় বড় সম্মেলন হচ্ছে এটাই ফোবানা’র বড় অর্জন।