চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন: কার্যালয়ের নিকটবর্তী ৩ কেন্দ্রে বিএনপি ভোট পেয়েছে ৮টি

255

ঢাকা: চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়টি কাজীর দেউড়িতে অবস্থিত। আর এ এলাকায় অবস্থিত তিনটি ভোট কেন্দ্রে গতকাল বুধবারের নির্বাচনে বিএনপি ভোট পেয়েছে মাত্র ৮টি। এই কেন্দ্র তিনটি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল্লাহ আল নোমানের বাসার ১০০ গজের মধ্যে।

কাজীর দেউড়ি বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মহিলা কেন্দ্র-০১ গতকাল অনুষ্ঠিত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন পেয়েছেন মাত্র এক ভোট ও নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিম পেয়েছেন ২১৫ ভোট।

যেখানে ২০১৫ সালের নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত মঞ্জুর আলম ৩৮৫ ভোট আর আওয়ামী লীগ সমর্থিত আ জ ম নাছির পান ১ হাজার ৭০ ভোট।

২০১০ সালের নির্বাচনে বিএনপির মঞ্জুর আলম কাজীর দেউড়ি বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পেয়েছিলেন ৯১৩ ভোট ও আওয়ামী লীগের এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী পান ৭৫৮ ভোট। অপরদিকে কাজীর দেউড়ি বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিএনপির মঞ্জুর আলম পান ৬২৫ ভোট ও আওয়ামী লীগের এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী পান ৭০৯ ভোট ।

একই বিদ্যালয়ের মহিলা কেন্দ্র-০২ এবার বিএনপি পেয়েছে মাত্র দুই ভোট, নৌকা ১১৯ ভোট। যেখানে ২০১৫ সালে বিএনপির মঞ্জুর আলম পান ১৯৩ ভোট আর আ জ ম নাছির পান ৪০৯ ভোট।

একই স্থানের কাজীর দেউড়ি বালক পেয়ার মোহাম্মদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরুষ কেন্দ্রে বুধবারের নির্বাচনে বিএনপি পায় মাত্র দুই ভোট। নৌকা প্রতীকে রেজাউল করিম চৌধুরী পান ৩৫০ ভোট। ২০১৫ সালে মেয়র নির্বাচনে মঞ্জুর আলম পান ৪১৪ ভোট ও আ জ ম নাছির উদ্দিন পান ৭২২ ভোট।

বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের উত্তর পাশে ৫০ গজের মধ্যে আরেকটি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। সরকারি ন্যাশনাল প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে এ পুরুষ কেন্দ্রে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন পেয়েছেন মাত্র ৩ ভোট। নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম চৌধুরী ৩৫০ ভোট পেয়েছেন। অথচ ২০১৫ সালে এ কেন্দ্রে বিএনপির মঞ্জুর আলম পান ৪৬৯ ভোট ও আ জ ম নাছির উদ্দিন পান ৮৫০ ভোট।

বুধবার অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে রিটার্নিং কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বেসরকারি ফলাফল বিশ্লেষণ করে ভোটের এমন চিত্র পাওয়া যায়।

বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের আশেপাশের কেন্দ্রের ভোটের এমন ফলাফল নিয়ে নগরজুড়ে হাস্যরস তৈরি হয়েছে। 

এ বিষয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “কেন্দ্র ভিত্তিক এই ফলাফলই সাক্ষী দেয় কী জাতের নির্বাচন হয়েছে। কিছু কিছু অতি উৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তা আমাদের এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। বাহিরে সরকার দলীয় নেতারা সশস্ত্র অবস্থান নিয়ে প্রকৃত ভোটারদের কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়নি। আবার যারা ভোট দিতে কেন্দ্রে প্রবেশ করেছে তাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে ইভিএমে নিজেরা বোতাম চেপেছে। এই প্রক্রিয়া এর চেয়ে বেশী কিছু সম্ভব নয়। যা হওয়ার তাই হয়েছে।”

Leave A Reply

Your email address will not be published.