৩০ লাখ ভোট পেয়েও জিততে পারেননি ড. নীনা
মোক্র্যাট। আমরা এই ভোটব্যাংক-কেও সুসংহত রাখতে পারিনি ওই একই কারণে। এসব এলাকার টিভি, পত্রিকাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপণ দিতে পারিনি অর্থ পর্যাপ্ত না থাকায়। আমি বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই যে, তারা আমাকে যথেষ্ঠ সহযোগিতা দিয়েছেন। আশা করছি, সামনের দিনগুলোতেও সহযোগিতার এ দিগন্ত প্রসারিত থাকবে।
তিনি বলেন, পেনসিলভেনিয়ার মতো বিরাট একটি স্টেটে আমার মতো একজন মুসলিম এবং নারী ইমিগ্র্যান্ট ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারটি খুব বড় একটি বিষয়। আরেকটি কথা ভুলে গেলে চলবে না যে, আমার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডিফোর তিমুথি হচ্ছে আফ্রিকান-আমেরিকান। ফলে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির অনেক আফ্রিকান ভোটারও হয়তো আমাকে গুরুত্ব না দিয়ে তার নিজ একজনকে ভোট দিয়েছেন।
বাইডেন-হ্যারিসের বিজয়ে অত্যন্ত আনন্দিত, উজ্জীবিত এবং গৌরববোধ করছেন বলে উচ্ছাসের সাথে ড. নীনা বলেন, আমরা সকলেই এজন্যে কাজ করেছি। বিজয়কেও সেভাবেই ভাগাভাগী করে নিতে চাই। আমি সবসময় এটাও ভেবেছি যে, আমার জেতার চেয়েও ওদের জয়ী হওয়াটা জরুরি।
ড. নীনা স্মরণ করিয়ে দেন যে, দলীয় মনোনয়নের দৌড়ে যারা বাইডেনের প্রতিপক্ষ ছিলেন, তারা সকলেই মাঠে নেমেছিলেন নির্বাচনে তার বিজয়ের জন্যে। যা আগে খুব কম সময়েই দেখা গেছে। বাইডেনের নেতৃত্ব গুণে এটি সম্ভব হয়েছে। ঠিক একই চেতনায় তিনি ট্রাম্পে ক্ষতিগ্রস্ত সামাজিক-সম্প্রীতিকেও পুনরুদ্ধারে সক্ষম হবেন বলে মনে করছি।
ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে ড. নীনা বলেন, আমার ভোট গণনা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়নি। আমি নিশ্চিত হতে চাচ্ছি যে, কতভোট আমি পেলাম। আমি আমার কমিউনিটির বাইরের তরুণ সমাজ, নারী সমাজের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তারাও যথেষ্ঠ সমর্থন দিয়েছেন এতগুলো ভোট পাওয়ার ক্ষেত্রে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বাইডেন প্রশাসনে কে থাকবেন তার একটি তালিকা তৈরি শুরু হয়েছে। সেখানেও রয়েছে তার নাম।