শেখ রেহানার জম্মদিন আজ
ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ছোট মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার ৬৬তম জম্মদিন আজ।
শেখ রেহানা ১৯৫৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার স্বামী ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য শিক্ষক। তিনি এক ছেলে এবং দুই কন্যার গর্বিত মা। তার বড় ছেলে রিদোয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি বাংলাদেশের CRIসহ বিভিন্ন কাজের সঙ্গে সংযুক্ত থেকে প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তা করছেন।
বড় মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনের লেবার পার্টির দুইবারের নির্বাচিত পার্লামেন্ট মেম্বার এবং ছোট মেয়ে আজমাইন সিদ্দিক লন্ডনে গ্লোবাল রিস্ক (RISK) অ্যানালাইজার হিসেবে কাজ করছেন। তিনি শুধু নিজের ছেলেমেয়েদের দিকেই তাকাননি, বড় বোন জননেত্রী শেখ হাসিনার ছেলে মেয়েদের মানুষ করার ক্ষেত্রে রয়েছে তার অসামান্য অবদান।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মাত্র ২১ দিন আগে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা জার্মানিতে যান। শেখ হাসিনার স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়া এসময়ে জার্মানিতে কর্মরত থাকায় শেখ রেহানা বোনের বাসায় বেড়ানোর উদ্দেশ্যেই গিয়েছিলেন। সে সময়ে তারা দেশে থাকলে হয়তো বাংলাদেশের ইতিহাস ভিন্ন রকম হতো। আল্লাহ’র রহমতে তারা বিদেশে থাকায় বেঁচে যান। এরপর শুরু হয় পিতৃ-মাতৃহীন দুই বোনের অনিশ্চিত কঠোর সংগ্রামী জীবন।
১৯৮১ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগের আন্দোলন-সংগ্রামের পথ সহজ ছিল না। এ সময়ে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে শেখ রেহানা শেখ হাসিনাকে সাহস জুগিয়েছেন এবং পরামর্শ দিয়েছেন। ১/১১-এর সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যে বিভক্তিকরণ দেখা দিয়েছিল তা রুখতেও শেখ রেহানা বিশেষ ভূমিকা রাখেন। সে সময়ে পর্দার আড়াল থেকে দলের ঐক্য বজায় রাখতে ব্যাপক ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। নিরহংকারের অন্যতম উদাহরণ শেখ রেহানা। পাবলিক গাড়িতে নিজের অফিসে যাওয়া আসার খবর আমরা গণমাধ্যমে দেখেছি। কষ্ট করে জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে সততার এক বিরল দৃষ্টান্ত। শেখ রেহানাসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সব সদস্যই সবাইকে আপন করে নেওয়ার এক অসীম ক্ষমতার অধিকারী। তিনি রাজনীতির ফ্রন্টলাইনে না আসলেও রাজনীতির অন্তর্নিহিত হালচাল ভালোভাবেই বুঝেন এবং পিতার মতোই এদেশের মানুষকে ভালোবাসেন।