সন্ধ্যা হলেই অন্ধকারে ডুবে যায় মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার

298

ঢাকা: রাজধানীর মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার। দিনের বেলা আলোর ঝলকানি থাকলেও সন্ধ‌্যা হলেই অন্ধকারে ডুবে যায়। ফলে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা, হয় ছিনতাই। রাজধানীর অন্য ফ্লাইওভারগুলোর মধ‌্যে বেশিরভাগের অবস্থা একইরকম।

মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফ্লাইওভারে সারিবদ্ধভাবে লাগানো খুঁটিতে বৈদ্যুতিক বাতি আছে। তবে একটিও জ্বলে না। সিগন্যাল বাতি থাকলেও সেগুলো যে কবে নষ্ট হয়েছে, তার খোঁজ নেই। তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা থেকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল পর্যন্ত ফ্লাইওভারের বেশিরভাগ বাতি বন্ধ থাকে। পুরো ফ্লাইওভারের বিভিন্ন স্থানে মাত্র তিনটি বাতি জ্বলে। মালিবাগের আবুল হোটেল থেকে শান্তিনগর বাজার, রাজারবাগ এবং ইস্কাটন থেকে মগবাজার ওয়ারলেস গেট পর্যন্ত একই অবস্থা।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রমনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সন্ধ্যার পর বাতি না জ্বলায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ও ছিনতাই ঘটছে।’

বলাকা পরিবহনের বাসচালক হেদায়েত উল্লাহ বলেন, ‘সন্ধ্যা হলেই এই ফ্লাইওভারে উঠতে ভয় করে। কিন্তু কী করার আছে, আমাদের গাড়ি চালানোর অনুমতি শুধু এই রুটে।’ একই অভিমত ওই রুটের অন‌্য বাসচালকদেরও।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খিলগাঁও ও মহাখালী ফ্লাইওভারের একাংশের অবস্থাও মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের মতো। এসব স্থানে শুরুতে বাতি থাকলেও কিছুদিনের মধ‌্যে তা নষ্ট হয়ে যায়। সেখানে বেড়েছে মাদকসেবীদের আনোগোনো।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সংঘবদ্ধ চোরচক্র রাতের আঁধারে বাতিগুলো অকেজো করে ফেলে। পরে বিদ্যুতের তার ও লোহার পাত চুরি করে।

এদিকে, মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার উদ্বোধনের পর এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দড়ি টানাটানি শুরু হয়। রক্ষাবেক্ষণের অভাব দেখা দেয়। অবশেষে গত বছরের নভেম্বর মাসে ফ্লাইওভারটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অধীনে ন্যস্ত করা হয়।

নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘সারা শহরে আলোর ঝলকানি। অথচ ফ্লাইওভারগুলোতে ভূতুড়ে অন্ধকার। দায়িত্বশীলদের দ্রুত করণীয় নির্ধারণ করতে হবে।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.