আমরা অনৈতিক কিছু করিনি : ই-ভ্যালির এমডি

283

ঢাকা: ডিজিটাল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ই-ভ্যালির বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেল বলেছেন, যেহেতু সরকারি সংস্থা এবং বিজনেস ট্রেড বডি অনুসন্ধান করছে, আমরা তাদেরকে পূর্ণ সহায়তা করে যাব। আমরা অনৈতিক এবং অবৈধ কিছু করিনি, আর সে বিষয়টিই তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে বলে আমাদের বিশ্বাস। সম্প্রতি তিনি এসব কথা বলেন।

মো. রাসেল বলেন, যেহেতু এই বিষয়টির সাথে বিক্রেতাদের পেমেন্টের একটি বিষয় জড়িত, সেহেতু আমরা সরকারের কাছে আবেদন জানাবো, আমাদের ব্যবসায়িক যে ব্যাংক হিসাবগুলো আছে সেগুলো যেন অন্তত দ্রুত চালু করে দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, এর বাইরেও আমাদের ডেলিভারি, রিফান্ড বা সেলারের পেমেন্ট নিয়ে যে ইস্যুগুলো উঠে এসেছে, সেগুলোও আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধানে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।

গ্রাহকদের আশ্বস্ত করে রাসেল বলেন, যাদের আগের অর্ডারের পণ্যগুলো ডেলিভারি দেওয়া বাকি আছে সেগুলোও আমরা দ্রুততম সময়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, যেহেতু আমাদের ব্যাংক হিসাব এবং পেমেন্ট গেটওয়ে সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে, সেহেতু গ্রাহক এবং বিক্রেতাদের সুবিধার জন্য আমরা ক্যাশ অন ডেলিভারি পদ্ধতিতে পণ্য বিক্রি শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত মোট এক হাজার ৫০৩টি শপ লাইভ রয়েছে। এদের মধ্যে রেগুলার শপ ৬৮০টি, এক্সপ্রেস শপ ৬২০টি এবং ফুড শপ ২৩০টি। এছাড়াও ফ্রেন্ডস ডিল এ রয়েছে ১২৫টি শপ।

তিনি আরও বলেন, ক্যাশ অন ডেলিভারির সব থেকে বড় সুবিধা হলো যে, বিক্রেতারা সরাসরি তাদের পেমেন্ট পাচ্ছেন। অন্যদিকে গ্রাহকেরাও পণ্য বুঝে নিয়েই মূল্য পরিশোধ করতে পারছেন। এর ফলে আমাদের নিয়ে গ্রাহকদের পণ্য পেতে যে দেরির অভিযোগ ছিল, তার সমাধান হলো।

Leave A Reply

Your email address will not be published.