সাহেদের ৪৩ অ্যাকাউন্টে ৯২ কোটি টাকা, তুলে নেওয়া হয় সাড়ে ৯০ কোটি

279

ঢাকা: রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে অর্থপাচার আইনে মামলা করবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শেষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সিআইডির অনুসন্ধান তথ্যমতে বিগত ৫ বছরে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে ১১ কোটি টাকারও বেশি হাতিয়ে নিয়েছেন সাহেদ। বিশেষ করে করোনার সময়ে ভুয়া নমুনা পরীক্ষা ও সনদ দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন ৩ কোটি টাকারও বেশি।

সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার জিসান জানান, সাহেদ ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত  বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে ৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। এছাড়া করোনার  ভুয়া পরীক্ষা এবং জাল সনদ প্রদানের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ৩ কোটি ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।

তিনি বলেন, সাহেদ তার অপরাধকর্মের প্রধান সহযোগী মাসুদ পারভেজের সহযোগিতায় রিজেন্ট ডিসকভারি ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেল লিমিটেডের নামে মাতুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংরে শাহ মখদুম শাখায় একটি নতুন হিসাব খোলেন গত ফেব্রুয়ারি মাসে। হিসাবটি পরিচালনা করতেন সাহেদের বাবা সিরাজুল করিম ও এমডি মাসুদ পারভেজ।

সিআইডির অনুসন্ধানে সাহেদের অর্জিত সম্পদের প্রধান উৎস প্রতারণা ও জালিয়াতি বেরিয়ে আসে। অপরাধলব্ধ আয় লেনদেনের সুবিধার্থে সে রিজেন্ট হাসপাতাল, রিজেন্ট কে. সি. এস লিমিটেড ও অন্যান্য অস্তিত্ববিহীন ১২টি প্রতিষ্ঠানের নামে ৪৩ টি ব্যাংক হিসাব খুলে পরিচালনা করে। ওই ব্যাংক হিসাবসমূহ খোলার সময় কেওয়াইসি ফরমে সাহেদ নিজেকে প্রতিষ্ঠানসমূহের চেয়ারম্যান বা স্বত্বাধিকারী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।

সিআইডির অনুসন্ধানে বলা হয়, কয়েক বছরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নগদ টাকা জমা হয় সাহেদ ও তার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ৪৩টি ব্যাংক হিসাবে। এসব হিসেবে মোট ৯১ কোটি ৭০ লাখ টাকা লেনদেন হয়। এর  মধ্যে তুলে নেওয়া হয় ৯০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। আসামি মাসুদ পারভেজের ১৫টি ব্যাংক হিসাবে মোট জমা ৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকা জমা দিয়ে তুলে নেন।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে লেনদেনের মাধ্যমে ভোগ-বিলাসে অর্থ ব্যয় করার অপরাধে অর্গানাইজড ক্রাইম (ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম), সিআইডি বাদী হয়ে রাজধানী উত্তরা পশ্চিম থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)/৪(৪) ধারায় নিয়মিত মামলা দায়ের করছে।  মামলাটি অপরাধ তদন্ত বিভাগের অর্গানাইজড ক্রাইম তদন্ত করবে।

উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক (তদন্ত ) কাজী আবুল কালাম মঙ্গলবার রাত ৮টায় গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, মামলার করার জন্য সিআইডির কোনো কর্মকর্তা এখনো আসেনি।  সূত্র : দেশ রূপান্তর

Leave A Reply

Your email address will not be published.