যুক্তরাষ্ট্রে তিন লাখ মানুষ মারা যাবে করোনায়!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা করোনাভাইরাস মহামারি রূপে ছড়িয়ে পড়ার শুরুতেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সতর্ক করে জানিয়েছিলেন, এতে কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই ২ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। সংক্রমণ সর্বোচ্চে ওঠার আগেই এ পর্যন্ত ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মারা গেছে। বৃহস্পতিবার আমেরিকার ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন, এভাবে চলতে থাকলে ডিসেম্বরের মধ্যেই ৩ লাখ পূর্ণ হবে। তবে মুখে মাস্ক পরাটা রপ্ত করে ফেলতে পারলে এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি ঠিকমত মেনে চললে মৃতের সংখ্যা অন্তত ৭০ হাজার কমতে পারে। খবর রয়টার্সের।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের মধ্যে মাস্ক পরার অভ্যাস কম। এমনকী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও মাস্ক পরতে চান না। ফলে এখনই সতর্ক না হলে ডিসেম্বরের মধ্যে তিন লাখ মানুষের মৃত্যুতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের সংক্রামক রোগ বিষয়ক পরামর্শদাতারা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সতর্ক করে জানিয়েছেন, অবিলম্বে সতর্ক না-হলে দেশটির বড় শহরগুলো করোনভাইরাসের হটস্পটে পরিণত হবে। তাই পাল্টা প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয় তাদের পরামর্শে। আর এরই মধ্যেই ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভাল্যুয়েশন ইনস্টিটিউট (আইএইচএমই) এই পূর্বাভাস সামনে এসেছে।
আইএইচএমই-র ডিরেক্টর ক্রিস্টোফার মার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকজনের মধ্যে সচেতনতা এসেছিল। মুখে মাস্ক পরার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্বও তারা বজায় রাখছিলেন। কিন্তু সংক্রমণের প্রকোপ কমতেই লোকজন সুরক্ষার কথা ভুলে কভিডের নিয়মবিধি আর মানার প্রয়োজন বোধ করছেন না। মুখে মাস্কও পরছেন না। এর পরিণতি ভয়ঙ্কর হতে চলেছে।
আইএইচএমই জানায়, অ্যারিজোনা, ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা ও টেক্সাসের মতো এপিসেন্টারগুলোতে করোনার প্রকোপ কমে এসেছে। কিন্তু ভার্জিনিয়া, ক্যানসাস, মিসিসিপি, কলোরাডো,ওহাইয়োর একাধিক নতুন এলাকা করোনার হটস্পট হয়ে উঠছে।
করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এখনও শীর্ষে।