মেইল ইন ভোটিংয়ের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু ট্রাম্পের

258

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চলতি বছরের নির্বাচনে মেইল ইন ভোটিংয়ের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছেন। যদিও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে মেইলে ভোটাধিকার প্রয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কিন্তু ট্রাম্পের আশংকা এই পদ্ধতির ভোটে লাভবান হবেন প্রতিপক্ষ ডেমোক্রেট দলের জো বাইডেন। পুন:র্নিবাচিত হওয়ার তীব্র লড়াইয়ে শামিল ট্রাম্প সোমবার বলেছেন, তিনি নেভাদা অঙ্গরাজ্যের বিরুদ্ধে মামলা করবেন, যেন রাজ্যটি তার সকল ভোটারকে আগামী ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে পোস্টাল সার্ভিস ব্যবহার করে ভোটের সুযোগ দিতে না পারে।

টুইট করে তিনি বলেছেন, নেভাদা মেইলের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিয়ে ওই রাজ্যে রিপাবলিকানদের জয় অসম্ভব করে তুলবে। তিনি টুইট করে আরো বলেন, ‘কোভিড ব্যবহার করে রাজ্য চুরি। দেখা হবে আদালতে।’

যুক্তরাষেট্রর ৫০টি অঙ্গরাজ্যই তাদের ভোটাভুটির প্রক্রিয়া নিজস্ব উপায়ে সম্পন্ন করছে। দীর্ঘদিন ধরেই মেইলের মাধ্যমে এবসেন্ট বাসিন্দাদের জন্যে ভোটাধিকার প্রয়োগের অনুমোদন রয়েছে। ইতোমধ্যে ৫টি অঙ্গরাজ্য তাদের ভোটারদের এ অনুমতি দিয়েছে।

দেশটির বর্তমান বাস্তবতায় এটি খুবই গুরুত্বপুর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ প্রায় প্রতিদিনই ৪৫ হাজারেরও বেশি লোক নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু রিপাবলিকানরা মেইলের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগ সীমিত করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

ট্রাম্প নিজেও মেইলে ভোট দিয়েছেন। তবু তার আশংকা এই ব্যবস্থা সার্বজনীন করা হলে ডেমোক্রেটরা বেশি ভোট পাবে। তবে কিছু বিশ্লেষক বলছেন এতে ট্রাম্পের অন্য উদ্দেশ্য আছে। তিনি তার সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে অবিশ্বাস তৈরি করতে চাচ্ছেন।

ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ রিক হাসেন বলেন, নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে তিনি সম্ভবত সন্দেহ তৈরি করতে চাচ্ছেন। এর মাধ্যমে তিনি হয়তো কিছু রাজনৈতিক সুবিধা পেতে পারেন।

তিনি আরো বলেন, তিনি সম্ভবত তার সম্ভাব্য পরাজয়ের একটি অজুহাত তৈরি করতে চাচ্ছেন।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে কাজের দিনে ভোট গ্রহণের কারণে অনেকেই সশরীরে হাজির হতে পারেন না। তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে ডাকযোগে ভোট দেয়ার সুযোগ রয়েছে।

চলতি বছর করোনা সংকটের কারণে এ সুযোগ বিস্তৃত হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। সূত্র: বাসস

Leave A Reply

Your email address will not be published.