দোকান খোলা রাত ৮টা পর্যন্ত, ১০টার পর বাড়ির বাইরে নয়
ঢাকা: আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত নিয়ন্ত্রিত চলাচলের সীমা বাড়িয়েছে সরকার। রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত অতীব জরুরি প্রয়োজন (প্রয়োজনীয় ক্রয়-বিক্রয়, কর্মস্থলে যাতায়াত, জরুরি পরিষেবা, ওষুধ ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) ব্যতীত বাসস্থানের বাইরে আসা যাবে না। তবে দোকানপাট আগের মতোই রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকছে। তবে আগে তা সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ছিল।
কাল মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এ নির্দেশনা জারি থাকবে। এ ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
আজ সোমবার (৩ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক স্মারকে এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করা হয়।
আদেশে বলা হয়েছে, করোনার বিস্তার রোধ এবং পরিস্থিতি উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার শর্তসাপেক্ষে সার্বিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার যে নির্দেশনা দিয়েছিল এবং জনসাধারণের চলাচলে যে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছিল, তা ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনও এর আওতায় পড়বে।
এতে বলা হয়, হাটবাজার, দোকান-পাট ও শপিংমলে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে হবে। শপিংমলে প্রবেশমুখে তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র এবং হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। শপিংমলে আসা যানবাহনগুলোকে অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
আদেশে আরো বলা হয়, হাটবাজার, দোকান-পাট ও শপিংমল আকশ্যিকভাবে রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। পণ্য বা খাদ্য কিনতে জনসাধারণকে ই-কমার্স সাইট ব্যবহারে উৎসাহিত করতে হবে।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, সর্বসাধারণের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির সরবরাহ/প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ বিষয়ে সুস্পষ্ট অনুমোদন ও নির্দেশনা দেবে। সিটি করপোরেশন এলাকায় সিটি করপোরেশন এবং অন্যান্য এলাকায় জেলা প্রশাসন এ সংক্রান্ত কার্যাবলীর সার্বিক সমন্বয় করবেন।
আওতাধীন বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে আদেশে। কভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে স্থায়ী সরকার বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রচারণা ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে।