আমাদের ভারত-চীন কেউই কিছু বলেনি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

252

ঢাকা: চীন-ভারত সীমান্তের সাম্প্রতিক বিরোধের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘ভারত বা চীন কেউই আমাদের কিছু বলেনি এবং আমরা বিষয়টি ঠিক জানিও না। আমাদের মিডিয়া যখন প্রশ্ন করেছিল তখন আমরা বলেছিলাম আমরা চাই শান্তিপূর্ণ স্থিতিশীল অবস্থা। আমরা চাই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হলে ভালো হয়। আমরা কারো অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কখনও নাক গলাই না। এটি আমাদের সব বিষয়ে অবস্থান।’

তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিপ্রিয় দেশ এবং সবার সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নাই। মিডিয়া ইচ্ছা করে অবান্তর জিনিস রটাচ্ছে, যাকে রাবিশ বলা যায়।’

বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ভারতীয় কয়েকজন মারা গেছে একটি যুদ্ধে এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন কেউ এক ইঞ্চি জমিও দখল করেনি। ভারতীয় সরকার আমাদের কোনও নোট ভার্বালও পাঠায়নি যে তাদের কোনও লোক মারা গেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবে আমরা কোনও বক্তব্য দেই নাই।’

ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পাচ্ছেন না মিডিয়ার এমন খবরের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘মিডিয়া বলেছে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চার মাস সাক্ষাৎ করতে পারেননি। আমার তথ্যমতে উনি ২২ জুলাই একটি সাক্ষাৎ চেয়েছেন এবং তিনি অনেক সময় দিয়েছেন। তিনি সম্ভবত যাবেন সেপ্টেম্বরের শেষে অথবা অক্টোবরের প্রথমে। এরমধ্যে একটি সাক্ষাৎ চেয়েছেন।’

করোনাভাইরাসের জন্য প্রধানমন্ত্রী এখন কারও সঙ্গে দেখা করছেন না এবং কেবিনেট মিটিংও ভার্চুয়ালি হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এরমধ্যে বেশ কয়েকজন বিদেশি দূত ফেরত গেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী কারও সঙ্গে দেখা করেননি। যে তথ্যটা বেরিয়েছে সেটি ডাহা মিথ্যা ও বানোয়াট।’

সিলেট ওসমানী এয়ারপোর্ট নিয়ে তিনি বলেন, প্রশ্ন উঠেছে কেন চীনকে কাজ দেওয়া হলো এবং ভারতকে দেওয়া হলো না। এক্ষেত্রে টেন্ডার প্রক্রিয়া অনুযায়ী টেকনিক্যাল ও আর্থিক দিক বিবেচনা করে কাজ দেওয়া হয়। আমি যেটা শুনেছি চীনারা টেকনিক্যালি কোয়ালিফায়েড এবং আর্থিক দিক থেকে সবচেয়ে কম রেট। ভারতের আর্থিক বিষয়টি অনেক বেশি ছিল এবং এর ফলে তারা টিকতে পারেনি। কিন্তু কোনও পত্রিকা বলছে আমরা চীনকে বেশি সুবিধা দিয়েছি, যা একেবারেই অবান্তর।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.