ঈদে খোলতে পারে ফ্যান্টাসি কিংডমসহ বিভিন্ন বিনোদন পার্ক!

282

ঢাকা: করোনা দুর্যোগে দেশের প্রায় ১’শ বিনোদন পার্ক প্রায় ৪ মাস ধরে বন্ধ। এতে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি কর্মহীন হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। পার্কগুলো বন্ধ থাকায় প্রতি মাসে ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা বলে দাবি পার্ক মালিক সমিতির। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিনোদন পার্কগুলো খুলে দেয়ার পক্ষে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

রাজধানীর আশুলিয়ায় বিনোদন পার্ক ফ্যান্টাসি কিংডম। ইট-পাথরের এই ব্যস্ত জীবনে একটু স্বস্থির আশায় সারা বছর এখানে হাজারো মানুষের আগমন হলেও করোনা দুর্যোগ পাল্টে দিয়েছে এর চিরচেনা রূপ।

গত ৪ মাস ধরে স্থবির হয়ে পড়ে আছে পার্কটির বিভিন্ন রাইড। ঈদ, পূজার মতো ধর্মীয় অনুষ্ঠান ছাড়াও সারা বছর পিকনিক ও ব্যক্তিগতভাবে বিনোদনের জন্য আসেন এখানে।

কনকর্ড এন্টারটেইনমেন্ট’র সহকারী ব্যবস্থাপক আব্দুল সালাম জানান, এসব রাইড রানিং না থাকলে ড্যামেজ হয়ে যায়।

রাজধানীসহ সারা দেশে প্রায় ১’শ টি বিনোদন পার্কে কর্মরত প্রায় বিশ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারী। পার্ক মালিক সমিতির দাবি, করোনা সংকটে পার্কগুলো বন্ধ থাকায় প্রতি মাসে ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা।

কনকর্ড গ্রুপে’র (অপারেশন) ম্যানেজার ফারুক হোসাইন জানান, গত রোজার ঈদে আমরা কোনো আয় করতে পারিনি। কুরবানীর ঈদেও যদি আয় না করতে পারি ভবিষ্যতে টিকিয়ে রাখতে হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব এমিউজম্যান্ট পার্ক এন্ড এট্রাকশন’র সমন্বয়ক অনুপ কুমার সরকার জানান, সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছি। সে অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে পার্কগুলো পরিচালনা করতে পারবো।

দীর্ঘদিন বাসায় আবদ্ধ থাকা মানুষগুলোকে মানসিক প্রশান্তি দিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পার্ক খুলে দেয়ার পক্ষে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে বলে জানান পর্যটন বিভাগের সিনিয়র সচিব।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ জানান, আমাদের বাচ্চারা একটানা ঘরে আবদ্ধ থেকে এক ধরণের মানসিক চাপের মধ্যে থাকে। এ ক্ষেত্রে যে জায়গাগুলোতে সংক্রমণ কম সেখানে এগুলো খুলে দেয়া যায়।

বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক জানান, আমরা এ বিষয়ে একটা নীতিমালা তৈরি করেছি। এ নীতিমালা আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে হাতে হাতে পৌঁছে যাবে। ডিস্ট্রিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন যদি মনে করে তাহলে খুলে দেবে।

স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করে পার্ক পরিচালনা করতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী প্রস্তুত রেখেছে পার্ক মালিকরা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.