সাহাবুদ্দিনের এমডি গ্রেফতার

285

করোনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে রাজধানীর গুলশানের সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল আল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। আজ সোমবার দুপুরে বনানীর একটি হোটেল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র‍্যাব সূত্র জানিয়েছে।

গ্রেপ্তার ফয়সাল হাসপাতালটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. সাহাব উদ্দিনের বড় ছেলে। এর আগে র‍্যাব ফয়সালসহ সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. আবুল হাসনাত ও হাসপাতালটির ইনভেন্টরি কর্মকর্তা শাহরিজ কবির সাদিসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।

মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে গুলশান থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান সোমবার রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে র‍্যাব বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এজাহারে সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগে আনা হয়েছে, নেগেটিভ রোগীকে করোনা পজিটিভ রোগী বলে চিকিৎসা দেওয়া, পরীক্ষা না করে ভুয়া প্রতিবেদন দেওয়া ও অনুমোদন না নিয়েই র‍্যাপিড কিট দিয়ে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করিয়ে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি।

এছাড়া আবুল হাসনাত ননকোভিড ও কভিড রোগীদের এক পরীক্ষা চারবার দেখিয়ে বিল করেছেন। একাধিকবার করোনা পরীক্ষার সনদ রোগীর ফাইলে সংযোজিত পাওয়া যায়নি। মামলায় আরো চার-পাঁচজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বিবরণে বলা হয়, হাসপাতালটি মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করে আসছিল রোগীদের কাছে। এ ঘটনায় সারওয়ার আলম প্রতিষ্ঠাটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন। হাসপাতালের পাঁচটি অপারেশন থিয়েটার রয়েছে। একটিতে তল্লাশি চালিয়ে পাঁচটি মেয়াদোত্তীর্ণ সার্জিক্যাল টিউব পান।

এগুলোর একটি ২০০৯ সালে, দুটি ২০১১ সালে এবং একটি ২০২০ সালের এপ্রিলে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়। এসব টিউব সাধারণত অপারেশনে অ্যানেসথেসিয়া দেওয়ার সময় রোগীর শ্বাসনালিতে ঢোকানো হয়। এছাড়া হাসপাতালের লাইসেন্স গত বছর শেষ হয়ে যায়। এসবের সঙ্গে সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ফয়সাল, সহকারী পরিচালক আবুল হাসনাত ও শাহরিজ কবির জড়িত।

Leave A Reply

Your email address will not be published.