ঢাকার দুই সিটিতে ১০ অস্থায়ী পশুর হাট
ঢাকা : করোনা সংক্রমণ রোধে এবার ঢাকা ও চট্টগ্রামে কোরবানীর পশুর হাট না করার পরামর্শ দিয়েছিল করোনা সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটি। কিন্তু তা মানা হচ্ছে না। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ১০টি অস্থায়ী হাট বসবে। আর পশু জবাইয়ের জন্য ৩২৯টি স্থান নির্ধারণ করেছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। নির্ধারিত স্থানেই পশু জবাই করতে নগরবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন মেয়ররা।
প্রতি বছর ঈদ উল আযহায় বর্জ্য অপসারণ সহজ করতে পশু কোরবানির জন্য স্থান নির্ধারণ করে দেয় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এ বছর করোনা সংক্রমণ এড়াতে দুই সিটিতেই কমছে পশু জবাইয়ের জন্য চিহ্নিত স্থানের সংখ্যা।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে ৭৫টি ও উত্তর সিটির ৫৪টি ওয়ার্ডে ২৫৪টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব জায়গায় পশু কোরবানি করতে পারবেন নাগরিকরা। কোরবানির পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলদের প্রস্তুত থাকতেও বলা হয়েছে।
ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা জানিয়েছেন, দ্রুত বর্জ অপসারণে পরিচ্ছন্নকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে টিম তৈরী করা হচ্ছে। প্রতি বছর ঢাকায় ২৪টি অস্থায়ী পশুর হাট বসে কোরবানীর ঈদের। এবার হাট না করার পরামর্শ দিয়েছে করোনা মোকাবেলায় সরকারের গঠিত জাতীয় পরামর্শক কমিটি। তবে তা পুরোপুরি পালন হচ্ছে না। সংক্রমণ এড়াতে দুই সিটিতে হাটের সংখ্যাও কমিয়ে আনা হয়েছে। এবার বসবে মাত্র ১০টি হাট।
প্রতিটি হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানতে কঠোর নজরদারি করা হবে বলে জানিয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃৃপক্ষ।