করোনায় ফুসফুসকে বাঁচাবে গাঁজা, বিজ্ঞানীদের দাবি!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনা ভাইরাসের ক্ষতি থেকে ফুসফুসকে রক্ষা করতে পারে গাঁজা। এই প্রাকৃতিক হার্ব বা পাতার এই গুণটি আবিস্কার করেছেন ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ক্যারোলিনার একদল গবেষক।
তাদের দাবি, করোনাভাইরাস সংক্রমণে ফুসফুসের মারাত্মক একটি ক্ষতি প্রতিরোধ করতে পারে গাঁজা। গবেষকরা জানিয়েছেন, গাঁজার অন্যতম প্রধান সক্রিয় উপাদান ‘টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল বা টিএইচসি’, করোনায় ফুসফুসের তীব্র প্রদাহ সৃষ্টিকারী অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ডিসট্রেস সিন্ড্রোম (এআরডিএস) হ্রাস করতে পারে। এ সম্পর্কে ফোর্বস ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে একটি আর্টিকেল।
এআরডিএস সিন্ড্রোম (তীব্র শ্বাসকষ্ট) হয়ে থাকে ভাইরাসের প্রতিক্রিয়ায় ইমিউন সিস্টেমে অতিরিক্ত পরিমাণে প্রদাহ সৃষ্টিকারী উপাদান ‘সাইটোকাইন’ তৈরি হলে, যা এক পর্যায়ে ফুসফুসে প্রদাহ সৃষ্টি করে। প্রতি বছর বিশ্বে ৩ কোটি মানুষ এআরডিএস সিন্ড্রোমে ভুগে থাকেন। আর বর্তমানে করোনা মহামারিতে এ পরিসংখ্যান আরো অনেক বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা সংস্থার (এনএইচএস) মতে, অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ডিসট্রেস সিন্ড্রোম (এআরডিএস) একটি জীবন-হুমকিপূর্ণ অবস্থা, যেখানে ফুসফুস শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে না।
নতুন এই গবেষণায় গবেষকরা ইঁদুরের শরীরে এআরডিএস নিরাময়ে টিএইচসি’র প্রভাব পরীক্ষা করেন। গবেষকরা আবিষ্কার করেন যে, টিএইচসি শতভাগ ক্ষেত্রে শরীরে সাইটোকাইন প্রোটিনের ঝড় ধীর করে ফুসফুসের প্রদাহ প্রতিরোধে করতে পারে।
ফ্রন্টিয়ার্স ইন ফার্মাকোলজি জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় আমিরা মোহাম্মদের নেতৃত্বে গবেষকরা উল্লেখ করেন, ‘করোনায় গুরুতর অসুস্থ বেশিরভাগ রোগী সাইটোকাইন ঝড়ের কবলে পড়ে। বর্তমানে শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সমস্যার (এআরডিএস) বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো চিকিত্সা নেই বলে এই জাতীয় কোভিড-১৯ রোগীর একটি উল্লেখযোগ্য শতাংশ ফুসফুস এবং অন্যান্য অঙ্গগুলোর মারাত্মক ক্ষতি থেকে মারা যায়, যা সাইটোকাইন ঝড়ের কারণে ঘটে।’