করোনা উপেক্ষা করেই রাশমোরেতে ট্রাম্প
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনা মহামারির প্রকোপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ অবস্থায় মাউন্ট রাশমোরোতে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বর্ণবাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভরত প্রতিবাদকারীদের জাতিগত ন্যয়বিচারের দাবিকে ‘সহিংস মারামারি’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে ৪ঠা জুলাই স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে শুক্রবার হাজার হাজার লোকের উপস্থিতিতে বক্তব্য দিতে গিয়ে ট্রাম্প এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া অনেকেই ‘আরো চার বছর’ বলে শ্লোগান দিচ্ছিল।এদের অনেককেই মাস্ক পরতে দেখা যায়নি।
সাউথ ডাকোটার ব্ল্যাক হিলের গায়ে যুক্তরাষ্ট্রের চার উল্লেখযোগ্য প্রেসিডেন্টের মূর্তি খোদাই করা আছে। এরা হলেন জর্জ ওয়াশিংটন, থমাস জেফারসন, থিওডোর রুজভেল্ট ও আব্রাহাম লিংকন। এখানে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প
সমর্থকদের প্রতি আমেরিকার অখন্ডতা রক্ষার আহ্বান জানান।
তিনি বিক্ষোভকারীদের জাতিগত ন্যায়বিচারের দাবিকে আমেরিকার ইতিহাস নির্মূল, বীরদের বীরত্বগাঁথাকে বিকৃত, মূল্যবোধ মুছে ফেলা এবং শিশুদের উদ্বুদ্ধ করার ক্ষমাহীন প্রচারণা বলে বর্ণনা করেন।
গত ২৫ মে মিনেপোলিসে শেতাঙ্গ পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামের নিরস্ত্র এক কৃষাঙ্গ প্রাণ হারালে তা নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। হত্যাকান্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভ তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে ওঠে।
তিনি বিক্ষোভকারীদের প্রতিবাদ বিক্ষোভকে সহিংস মারামারি উল্লেখ করে বলেন, তারা আমাদের নি:শব্দ করতে চায়। কিন্তু আমরা নিরব হবো না। এখন সময় গলা চড়িয়ে দৃঢ়তার সঙ্গে কথা বলার। এ দেশের অখন্ডতাকে রক্ষা করার।
এদিকে ট্রাম্প যখন তার বক্তব্যে এসব কথা বলছিলেন তখন শুক্রবার দেশটিতে একদিনের সংক্রমণ ৫৭ হাজারেরও বেশি দাঁড়িয়েছে। যা আগের একদিনের সংক্রমণের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। তবে ট্রাম্প ভাইরাস সংক্রমণ রোধে যারা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তাদের ব্যাপকভাবে ধন্যবাদও দেননি। আর করোনা নিয়েও তেমন কোন কথাবার্তা বলেননি।
আমেরিকায় করোনা মহামারির কারণে এক লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি লোক মারা গেছে। দেশটির সংক্রমণ রোগ বিষয়ক শীর্ষ বিশেষজ্ঞ এন্থনি ফুচি বলেছেন, সংক্রমণের সাম্প্রতিক উর্ধ্বগতি পুরো দেশকে ঝুঁকিতে ফেলেছে।
বৃহস্পতিবার টুইট করে ট্রাম্প সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার জন্যে বেশি বেশি পরীক্ষাকে দায়ি করেন। একইসঙ্গে তিনি মৃুত্য হার কমেছে বলেও উল্লেখ করেন।
ফাস্ট লেডি মেলানিয়াকে সাথে করে ট্রাম্প সাউথ ডাকোটায় গেলে তাকে উষ্ণ অভিনন্দন জানানো হয়। এ রাজ্যে তিনি ২০১৬ সালে খুব সহজ জয় পেয়েছেন। সূত্র: বাসস