সংকটে একে অপরের প্রতি সমব্যথী হতে হবে: কাদের
ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “আমি সংক্রমণের বিস্তাররোধে তৈরি পোশাক শিল্পসহ অন্যান্য শ্রমঘন শিল্পসমূহ ঈদের আগে পর্যায়ক্রমে ছুটি প্রদানে বিজিএমই এবং বিকেএমই এর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে মালিকগণ বরাবরের মতো এবারও সহমর্মিতার নজির স্থাপন করবেন বলে আমার বিশ্বাস।”
শনিবার (০৪ জুলাই) তার সংসদ ভবনস্থ সরকারি বাসভবনে এক আনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
ঈদ উল আযহার তিনদিন আগে থেকে সড়ক মহাসড়কে পণ্যবাহি ট্রাক, কাভার্ডভ্যান বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, কৃষি, শিল্প ও রপ্তানীমুখী পণ্য, চিকিৎসা সরঞ্জাম, ত্রাণ, জ্বালানী, ওষুধ, খাদ্যদ্রব্য, পচনশীল পণ্যসহ জরুরী সার্ভিস এর আওতামুক্ত থাকবে।
কাদের বলেন, ঈদের আগে পরে ৮ দিন সড়ক-মহাসড়ক সংলগ্ন সিএনজি স্টেশনগুলো ২৪ ঘন্টা খোলা রাখতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, কোরবানীর পশুবাহী যানবাহণ সাধারণত ধীরগতিতে চলে, এ সকল পরিবহন মহসড়কে নষ্ট হয়ে পড়লে তৈরি হয় যানজট। তাই ফিটনেস বিহীন যানবাহনে কোরবানীর পশু পরিবহন থেকে বিরত থাকুন। ইতোমধ্যে ফিটনেস বিহীন গাড়ীর বিরুদ্ধে ব্যবসস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সড়ক-মহাসড়কের উপরে কিংবা আশপাশে পশুরহাট বসানো যাবে না। প্রয়োজনে এ বছর কমসংখ্যক হাট বসানোর বিষয়টি বিবেচনায় আনতে হবে। এক্ষেত্রে অনলাইনে পশু বেচা-কেনার বিষয়টিও বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ধর্মীয় অনুভূতির পাশাপাশি কোরবানি ঈদ কেন্দ্রিক অর্থনীতির সাথে অনেক মানুষের জীবন ও জীবিকা সংযুক্ত, পশুপালন, এ্যনিম্যাল ফার্মিং, পশুর চামড়া রপ্তানিসহ ঈদ-অর্থনীতি দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক প্রবাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তিনি জীবনের পাশাপাশি অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের যে অবস্থান তা এগিয়ে নিতে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও আহ্বান জানান।
বাড়িওয়ালা ভাড়াটিয়াদের সাথে অমানবিক আচরণ এবং শিক্ষার্থীরা মেসে থাকছে ভাড়া নিয়ে, তাদের মালপত্র ফেলে দেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, সংকটে অনেকের আয় কমেছে, হারিয়েছে চাকরি, আবার কেউ-কেউ পরিবার নিয়ে কষ্টে জীবন যাপন করছেন, এমন পরিস্থিতিতে একে অপরের প্রতি সমব্যথী হতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ঋণখাতের অধিকাংশ ঋণগ্রহিতা প্রান্তিক ও নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী করোনার আকস্মিক অভিঘাত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আয় ও জীবনযাপনে ফেলেছে নেতিবাচক প্রভাব, অনেকেই সঞ্চয় ভেঙে চলছে, অন্যদিকে ঋণগ্রহিতাদের অনেকে ঋণের কিস্তি দিতে হিমশিম খাচ্ছে।
এমতাবস্থায় তাদের উপর কিস্তি শোধের বাড়তি চাপ-জীবনযুদ্ধ থেকে তাদের ছিটকে দিতে পারে, ভেঙে দিতে পারে মনোবল। শেখ হাসিনা সরকার অর্থনীতির প্রতিটি খাতকে চাঙা রাখতে বাজেটে প্রণোদনাসহ নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানায় তিনি।