খানস টিউটেরিয়াল থেকে ডা. ইভান খানকে অব্যাহতি
নিউইয়র্ক: নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কমিউনিটি সহ অন্যান্য কমিউনিটির স্কুল শিক্ষার্থীদের কোচিং ক্লাশ সহযোগিতায় অনন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত খানস টিউটোরিয়াল-এর সিইও ডা. ইভান খানকে প্রতিষ্ঠান থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠায় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে স্বপ্রনোদিত হয়ে কর্তৃপক্ষ তাকে বিনা বেতনে অব্যাহতি প্রদান করাছে। অবশ্য ডা. খান তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং অভিযোগটি তদন্তে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ঘটনাটি ‘টক অব দ্যা কমিউনিটি’তে পরিণত হয়েছে। খবর ইউএনএ’র।
জানা গেছে, বাংলাদেশী মালিকানাধীন সুপরিচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খানস টিউটোরিয়াল-এর সিইও ডা. ইভান খানের বিরুদ্ধে সামাজিক গণমাধ্যম ইনস্ট্রগ্রামে গত ২৬ জুন ‘টেলিং মাই ট্রুথ’ নামের একটি একাউন্ট থেকে বেনামে যৌন হয়রানীর অভিযোগ করা হয়। খানস টিউটোরিয়াল-এর সাবেক এক টিউটর ডা. খানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর অভিযোগ এনে পোস্ট দেয়। এই অভিযোগের পরপরই ডা. খান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে তার ইনস্ট্রগামে পোষ্ট দেন। পাশাপাশি খানস টিউটোরিয়ালের ইনস্ট্রগামে অভিযোগের বিষয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্তের কথা জানানো হয়। এছাড়াও গত ২৮ জুন তাকে প্রতিষ্ঠানটির সিইও পদ থেকে বিনা বেতনে ডা. খানকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দানের কথা জানায়। একই সাথে ডা. খানের স্থলে তার স্ত্রী তাসনিম ইমাম খানকে ভারপ্রাপ্ত সিইও হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
অপরদিকে ডা. ইভান খানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তের বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়। ‘বুচানান ইনগ্রেসল এন্ড রুনী পিসি’ নামক আমেরিকান একটি আইনী প্রতিষ্ঠান এই তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে।
উল্লেখ্য, বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ (মরহুম) ড. মনসুর খান ‘খানস টিউরিটোরিয়াল’ প্রতিষ্ঠা করেন। ব্রুকলীন, ব্রঙ্কস, কুইন্সের ওজন পার্ক, এস্টোরিয়া, জ্যামাইকা, ফ্লোরাল পার্ক, রিচমন্ডহিলসহ নিউইয়র্ক শহরের ১০টি লোকেশনে খান’স টিউটোরিয়ালের শাখা রয়েছে। প্রবাসী বাংলাদেশীসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের সন্তানদের নিয়মিত কোচিং দান ছাড়াও হাইস্কুল ও কলেজ ভর্তিতে সেবা দিয়ে আসছে খান’স টিউটোরিয়াল। ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষার্থী খান’স এর শিক্ষা সহায়তা সেবা নিয়ে বিভিন্ন স্পেশালাইজড স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। আরো উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে খানস টিউটোরিয়ালের ইতিহাসে কখনো কারো বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠেনি।