বেড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি, কবে হবে এইচএসসি পরীক্ষা

231

ঢাকা: করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের মেয়াদ ৬ই অগাস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছে দেশটির সরকার। এই সময়ে সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে এই বন্ধের কারণে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (এইচএসসি) নিয়ে অনিশ্চয়তাও বাড়ল। খবর বিবিসি বাংলার।

সাধারণত এপ্রিল-মে মাসে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে সেপ্টেম্বর নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়। কিন্তু পরীক্ষা না হওয়ায় কবে নাগাদ এই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুরু করতে পারবেন, তাদের একাডেমিক ক্যালেন্ডার থেকে একটি বছর হারিয়ে যাবে কিনা, তা নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

একদিকে সরকার যেমন এখনো এইচএসসি পরীক্ষার কোন সুনির্দিষ্ট তারিখ বলতে পারছেন না, তেমনি পাবলিক-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও পরিস্থিতির উন্নতি আর সরকারি সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন টানা বন্ধের ঘটনা আর ঘটেনি।

অনিশ্চয়তায় শিক্ষার্থীরা

ঢাকার ধানমণ্ডির বাসিন্দা নাফিস শাহরিয়ারের এই বছর এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তার সব পরিকল্পনা ওলটপালট হয়ে গেছে।

“ভালোই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। ইচ্ছা ছিল, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চেষ্টার পাশাপাশি বিদেশে স্কলারশিপের জন্য চেষ্টা করবো। কিন্তু পরীক্ষা হবে না জানার পর থেকে পড়াশোনা আর ঠিকভাবে করা হচ্ছে না। সব কিছু মিলিয়ে একটা চিন্তার মধ্যে আছি।”

ফরিদপুরের একজন পরীক্ষার্থী তানিয়া ইয়াসমিন বলছেন, “যেভাবে প্রিপারেশন নিয়েছিলাম, তাতে বড় একটা ছেদ পড়লো। লকডাউন শুরুর পর থেকে তো কোচিং, স্যারদের কাছে পড়া সব বন্ধ। যা পড়েছিলাম, তাও এখন ভুলতে বসেছি। নতুন একটি ডেট দিলে আবার জোরেশোরে পড়াশোনা শুরু করতে হবে।”

বাংলাদেশে ২০২০ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় (এইচএসসি) মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ লক্ষের বেশি।

এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এপ্রিল মাসের শুরুতে। কিন্তু করোনাভাইরাস জনিত পরিস্থিতির কারণে তখন সাধারণ ছুটি ও সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সেই পরীক্ষা পিছিয়ে যায়। এরপরে কয়েক দফায় সাধারণ ছুটি বাড়ানোয় পরীক্ষা আয়োজন সম্ভব হয়নি।

কবে হবে এইচএসসি পরীক্ষা

দেশজুড়ে সাধারণ ছুটি শেষ হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ৬ই অগাস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছে বাংলাদেশের সরকার। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন টানা বন্ধের ঘটনা আর ঘটেনি।

কর্মকর্তারা বলছেন, সব কিছু নির্ভর করছে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কি হয়, তার ওপরে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.