আ.লীগ সরকারের ২২তম বাজেট, থাকছে বড় অঙ্কের ঘাটতি
ঢাকা: দেশে করোনা মহামারিকালে বাজেট পেশ করতে হচ্ছে সরকারকে। এটি আওয়ামী লীগ সরকারের ২২তম বাজেট। এবারও বাড়ছে বাজেটের আকার। ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের সম্ভাব্য আকার ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। অতীতের মতো এ বাজেটেও থাকছে বড় অঙ্কের ঘাটতি। গুরুত্ব পাবে করোনা সংকটে দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখার বিষয়টি।
প্রশাসনিক ব্যয় মেটানোর পাশাপাশি রাস্তাঘাট ও অবকাঠামো উন্নয়নে সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের প্রথম বাজেট ছিল অনেকটাই বিদেশি অনুদান ও ঋণ নির্ভর। ১৯৭২ সালের ৩০ জুন মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন দেশের প্রথম অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ। ১৯৭৪ সালে বাজেটের আকার ছাড়ায় ১ হাজার কোটি টাকা, যা ১৯৮৮ সালে দাঁড়ায় ১০ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকায়।
২০০৩ সালে ঘোষিত ৩১তম বাজেট প্রথমবারের মতো ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের পেশ করা ওই বাজেটের আকার ছিল ৫১ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা। ৬ বছর পর ২০০৯-১০ অর্থ বছরে যা ১ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের প্রস্তাবিত সে বাজেটের আকার ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ১৭০ কোটি টাকা।
২০১১ সালের ৯ জুনে পেশ করা বাজেটের আকার ছিল ১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। মহাজোট সরকারের গত মেয়াদের শেষ বাজেট দুই লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়, আকার ছিল ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা। দ্বিতীয় মেয়াদের মহাজোট সরকারের প্রথম বাজেট দেয়া হয় ২০১৪ সালের ৫ জুন। যার আকার ছিল আড়াই লাখ কোটি টাকার বেশি।
দুইবছর পরই ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটের আকার দাঁড়ায়, ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট ৪ লাখ কোটি টাকার মাইলকফলকে পৌঁছায়। ঘোষণা করা হয় ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ বাজেটের আকার হয় ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছের তা পৌঁছায় ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকায়। এবার ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের আকার বেড়ে সম্ভাব্য আকার ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়াল।
সূত্র : সময় নিউজ