বিক্ষোভকারীদের হোয়াইট হাউসের সামনে সংঘর্ষ, সেনা নামানোর হুমকি ট্রাম্পের

263

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পুলিশ হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ। ছড়িয়ে পড়ছে সহিংসতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজধানী ওয়াশিংটনসহ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়া রাজ্যগুলোতে সেনা মোতায়েনের হুমকি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

গত সোমবার মিনেপোলিসে ফ্লয়েডকে গলায় হাঁটু চাপা দিয়ে দম বন্ধ করে হত্যা করে শ্বেতাঙ্গ এক পুলিশ অফিসার। ময়নাতদন্ত রিপোর্টও তাই বলছে। এই হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পুরো যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।

বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে নিউ ইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলসসহ যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক ডজন শহর। কয়েক দশকে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখেনি বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর দেশটি।

এ ব্যাপারে শুরুতে নীরব থাকার কারণে সমালোচিত হওয়ার পর এবার ক্ষোভ নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প। জানালেন বিক্ষোভকারীদের দমাতে প্রয়োজনে দেশ জুড়ে সেনা শক্তি প্রয়োগের নির্দেশ দেবেন তিনি।

হোয়াইট হাউসে সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, “দাঙ্গা, লুটপাট, ভাঙচুর, হামলা ও সম্পত্তি অযথা ধ্বংস করা ঠেকাতে আমি ভারী অস্ত্র সজ্জিত সৈন্য, সামরিক বাহিনীর সদস্য ও আইন প্রয়োগকারী অফিসার মোতায়েন করব।”

এ সময় আগের রাতে ঘটে যাওয়া ওয়াশিংটনে বিশৃঙ্খল অবস্থার কথাও তুলে ধরেন ট্রাম্প। তার ভাষায় এটা ‘সম্পূর্ণ অসম্মান’। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গভর্নরদের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।

“বাসিন্দাদের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় যদি শহরগুলোর কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে আমি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী মোতায়েন করব এবং দ্রুত এসবের সমাধান করব।”

ট্রাম্প বিক্ষোভকারীদের এসব কর্মকাণ্ডকে ‘ঘরোয়া সন্ত্রাস’ বলে উল্লেখ করেন। প্রেসিডেন্টের সংবাদ সম্মেলনের পর পরই হোয়াইট হাউসের বাইরের দিক জনশূন্য করা হয়।

এ সময় দুই শতকের পুরোনো সেন্ট জনস চার্চ দেখতে যান ট্রাম্প। রবিবারের বিক্ষোভের সময় চার্চটির বেশ কিছু ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। চার্চের জানালার সামনে দাঁড়িয়ে বাইবেল হাতে নিয়ে ছবিও তোলেন ট্রাম্প। আর বলেন, “আমাদের দেশটি মহান।”

Leave A Reply

Your email address will not be published.