করোনায় আক্রান্তে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে ব্রাজিল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে ব্রাজিল শুক্রবার বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। রাশিয়াকে টপকে তারা এ অবস্থানে এলো। যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে সর্বোচ্চ অবস্থানে। এখন এ অঞ্চলটি করোনাভাইরাসের নতুন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। খবর এএফপি’র।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে মোট ৩ লাখ ৩০ হাজার ৮৯০ জন এবং মৃতের সংখ্যা বেড়ে মোট ২১ হাজার ৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারিভাবে ঘোষিত সংখ্যার চেয়ে দেশটিতে আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ১৫ গুণেরও বেশি হতে পারে। কেননা, দেশটিতে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম পরীক্ষা করা হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রাজিলে কোভিড-১৯ ভাইরাস নতুন করে ১ হাজার ১ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। হিসাব মতে গত চারদিনের মধ্যে তিনদিনই দেশটিতে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ১ হাজারের বেশি ছিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ আমেরিকাকে এ বৈশ্বিক মহামারির একটি নতুন কেন্দ্রস্থল ঘোষণার পর দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে দেখা যাচ্ছে।
জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ পরিসংখ্যান, যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আত্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৬ লাখ ছাড়িয়ে গেছে এবং দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৯৬ হাজারে দাঁড়িয়েছে। এদিকে রাশিয়ায় কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৮ জনে এবং মৃতের সংখা বেড়ে ৩ হাজার ২শ’ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনাভাইরাসে প্রাণহানির দিক থেকে ব্রাজিল হচ্ছে এখন বিশ্বে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। এক্ষেত্রে প্রথম স্থানে যুক্তরাষ্ট্র, দ্বিতীয় স্থানে ব্রিটেন, তৃতীয় স্থানে ইতালি, চতুর্থ স্থানে স্পেন ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে ফ্রান্স।
২১ কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত ব্রাজিলে কোভিড-১৯ ভাইরাস কিভাবে মোকাবেলা করা হবে সেটা নিয়ে রাজনৈতিক বিভক্তি রয়েছে। কট্টর ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো এ ভাইরাসকে একটি ‘সামান্য ফ্লু’র’ সঙ্গে তুলনা করেছেন এবং দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি বন্ধে ফের কাজ শুরু করতে দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে রাজ্য ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের ঘরে থাকার এবং জরুরি প্রয়োজনে ঘরের বাইরে গেলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জোরালো আহ্বান জানিয়েছে।
দেশটিতে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় এভাবে পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপের ঘোষণা দেয়ায় বিষয়টি আদালতে গড়ালে আদালত রাজ্য ও স্থানীয় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের পক্ষে সমর্থন দেয়।