ঈদের নামাজ পড়তে ১৬ কঠোর নির্দেশনা যা মানতেই হবে
ঢাকা: সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ ১৬টি নির্দেশনা অনুসরণ করে ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ মসজিদে পড়তে পারবেন খুলনাবাসী। শনিবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে মহামারি করোনাভাইরাস এর সংক্রমণ ও বিস্তাররোধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি ও নির্দেশনা অনুযায়ী এ বছর পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের জামাত ঈদগাহ বা কোনো উনুক্ত ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে না। জেলার সকল জামে মসজিদে নিম্নের নির্দেশনাবলী অবশ্য অনুসরণপূর্বক ঈদের জামাত আয়োজন করতে হবে।
ঈদ-উল-ফিতরের প্রথম জামাত খুলনা টাউন জামে মসজিদে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় জামাত যথাক্রমে সকাল ৯ টায় এবং ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে।
কোর্ট জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ-উল-ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া জেলার সকল জামে মসজিদে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সকাল ৮টা থেকে সকাল ১০টার মধ্যে সুবিধাজনক সময়ে একাধিক জামাত আয়োজন করা যাবে।
প্রতিটি মসজিদের প্রবেশপথে মুসল্লীদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা সাবান দ্বারা হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে।
ঈদের জামাতে আগত প্রত্যেক মুসুল্লি আবশ্যিকভাবে নিজ নিজ বাসা থেকে ওযু করে, মুখে মাস্ক পরিধানপূর্বক নিজস্ব জায়নামাজ নিয়ে মসজিদে উপস্থিত হবেন।
মসজিদে কার্পেট রাখা যাবেনা, সম্পূর্ণ মসজিদ নামাজের পূর্বে জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে।
মুসুল্লিগণ মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করতে পারবেন না। ঈদের নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।
শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করতে অনুৎসাহিত করা হলো।
করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধ নিশ্চিত করতে ঈদের জামাত শেষে পরস্পর কোলাকুলি ও হাত মেলানো পরিহার করা বাঞ্চনীয়।
সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে জেলা/উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এবং আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন ও অনুসরণ করতে হবে।
স্ব-স্ব মসজিদ কমিটি/ইসলামিক ফাউন্ডেশন উপরোক্ত নির্দেশনা প্রতিপালন নিশ্চিত করবেন।
ঈদের প্রাক্কালে সকল প্রকার উচ্চ-শব্দযুক্ত পটকাবাজি নিষিদ্ধ করা হলো।
ঈদের ছুটি চলাকালীন বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো এবং শালীনতা-বিরোধী সকল কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হলো।
ঈদের দিন বা ঈদ-পরবর্তী সময়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে ভ্রমণ থেকে বিরত থেকে স্ব-স্ব গৃহে অবস্থান করতে হবে।
ঈদের দিন বা ঈদ-পরবর্তী সময়ে দর্শনীয় স্থান বা জনসমাগমস্থল পরিদর্শন থেকে বিরত থাকতে হবে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ‘ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন’ কার্যক্রম বাস্তবায়নে জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।
আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।