আমেরিকায় কতটা বিষিয়ে উঠেছে লকডাউন, মিলল নমুনা

248

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাসের কারণে চলমান লকডাউনে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ কতটা বিষিয়ে উঠেছে তার একটা নমুনা দেখা গেল বৃহস্পতিবার। এদিন মিশিগানে প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করেই লকডাউন বিরোধী বিক্ষোভ করেছে কয়েক’শ জনগণ।

গভর্নর গ্রেটচেন হোয়াইটমারের প্রতি তাতের আহ্বান- শিথিল কর লকডাউন, ব্যবসায়ীদের দোকানপাট খোলার অনুমতি দাও। তবে এবারের বিক্ষোভ দিন পনেরো আগে হওয়া বিক্ষোভ তুলনামূলক কম জমেছে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা।

বিক্ষোভে আগত মানুষজন খুব ক্ষোভের সঙ্গে ‘প্রত্যেক কর্মীই গুরুত্বপূর্ণ’, ‘মিশিগানে কাজ কর্ম ফের চালু কর’, ‘এই অত্যাচার বন্ধ কর’ ইত্যাদি স্লোগান ধরছিল।
সেন্ট্রাল মিশিগান থেকে আগত আইটি বিশেষজ্ঞ ৪০ বছর বয়সী ডেভিড স্যাক্সটন বলেছিলেন, “আমরা তো কিছু কিছু ব্যবসা-বাণিজ্য খুলতেই পারি।”

স্যাক্সটন জানান, চলমান লকডাউনে তিনি চাকরি হারিয়েছেন। বর্তমানে বেকারভাতা দিয়ে তার দিন চলছে। তার মতে, সামনের এক বা দেড় বছরেই করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নাও পাওয়া পেতে পারে।

“এমন অবস্থায় দীর্ঘ সময় ধরে সবকিছু বন্ধ করে রাখা বাস্তবিক কোনো কাজ না। এভাবে থাকলে তো আপনি দেশকে মেরে ফেলবেন।”

এর আগে ৩০ এপ্রিল মিশিগানের মিশিগান ক্যাপিটাল বিল্ডিংয়ে ঢুকে সশস্ত্র বিক্ষোভ করে কয়েকশ মানুষ। অনেকে মিশিগান হাউস অব রিপ্রেন্টেটিভের চেম্বারে পর্যন্ত ঢোকার চেষ্টা চালায়। এমন ধৃষ্টতাপূর্ণ বিক্ষোভের সমালোচনা করেন সরকারি ও বিরোধী উভয় দলের প্রতিনিধিরা। লকডাউনও শিথিল করা হয়নি। অবশ্য তখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিক্ষোভকারীদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বলেছিলেন, বিক্ষোভকারীরা ‘ভালো মানুষ’।

এদিকে, বিক্ষোভকারীদের সতর্ক করে মিশিগানের অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন, অহেতুক আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন ও ছয় ফুট সামাজিক দূরত্ব না মানার কারণে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। যদিও বিক্ষোভকারীদের কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.