প্রেসিডেন্ট কিমকে নিয়ে নতুন যে তথ্য দিল গুপ্তচর সংস্থা

331

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কিম জং উনের স্বাস্থ্য নিয়ে যেসব গুজব ছড়িয়েছিল তার সবই ভিত্তিহীন। তার হৃৎপিণ্ডের অপারেশন হয়েছে এমন কোনো চিহ্নও দেখা যায়নি-বলছে দক্ষিণ কোরিয়ার গুপ্তচর সংস্থা। তবে দেশটির রাষ্ট্রীয় মিডিয়ায় স্বীকার করা হয় যে তিনি শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন, তবে তা গেঁটেবাত কি-না তা বলা হয়নি।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকে সম্প্রতি একটানা ২০ দিন জনসমক্ষে দেখা যায়নি। গত ১৫ এপ্রিল তার পিতামহের জন্মদিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না। ছয়দিন পর উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে আসা লোকেরা চালায় এমন একটি ওয়েবসাইটের খবরে দাবি করা হয় যে কিম জং উনের হৃদযন্ত্রের সমস্যা খারাপ দিকে মোড় নিয়েছে।

এরপর কিছু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও খবর বেরোয় যে তার অবস্থা ‘সঙ্কটজনক’। কয়েকটি সংবাদমাধ্যম এমনও খবর দেয় যে তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ২০ দিন পর কিম জং উনকে আবার উত্তর কোরিয়ার মিডিয়ায় একটি সার কারখানা উদ্বোধন করতে দেখা যায়। দৃশ্যত তার কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা হয়েছে বলেও মনে হয়নি।

দক্ষিণ কোরিয়ার গুপ্তচর সংস্থার প্রধান সু হুন বুধবার একটি পার্লামেন্টারি কমিটির বৈঠকে উপস্থিত হয়ে বলেন, কিম জং উনের স্বাস্থ্য নিয়ে যেসব গুজব ছড়িয়েছে তা সত্যি হবার কোনো চিহ্নই দেখা যাচ্ছে না। তবে কমিটিকে জানানো হয়, সাধারণত বছরের এই সময় পর্যন্ত কিম জং উনকে ৫০ বার প্রকাশ্যে দেখা যায়, কিন্তু এ বছর তাকে এ পর্যন্ত মাত্র ১৭ বার প্রকাশ্যে দেখা গেছে।

সেটা কভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণেও হতে পারে, বলেছেন কমিটির একজন সদস্য, যদিও সরকারিভাবে উত্তর কোরিয়ায় কোনো করোনাভাইরাস রোগী নেই। তবে একজন এমপি কিম বাইয়ুং-কী বলেছেন, উত্তর কোরিয়ায় কভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব ঘটেছে এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।

দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার এবং চীনা গুপ্তচর সংস্থার কিছু সূত্রও বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছিল যে কিমের অসুস্থতার খবর সত্য নয়। ২০১৪ সালেও কিম জং উনকে একটানা ৪০ দিনের জন্য প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। তার প্রত্যাবর্তনের পর হাতে একটা লাঠি দেখা গিয়েছিল।

সূত্র: বিবিসি বাংলা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.