করোনাভাইরাসে নিউ ইয়র্কে আরও ৩ বাংলাদেশির মৃত্যু
নিউইয়র্ক থেকে: কভিড-১৯ করোনাভাইরাসে নিউই য়র্কে আরও ৩ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। নিউ ইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কসের বাংলাবাজার জামে মসজিদ ও স্টারলিং-বাংলাবাজার বিজনেস এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন (৬২) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১০ এপ্রিল শুক্রবার ভোর সোয়া ২টায় ব্রঙ্কসের মন্টিফিউর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। হাসপাতাল সূত্র সংবাদটি নিশ্চিত করেছে। তার দেশের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার জাউয়া বাজার গ্রামে। তার পুরো পরিবারই যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী।
একইদিন সকাল ৮টায় জ্যামাইকা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন কুইন্সের বাসিন্দা এবং সন্দীপের সারিকাইত ইউনিয়ন থেকে অভিবাসন মর্যাদায় যুক্তরাষ্ট্রে আসা মানিক মিয়া (৬২)। যুক্তরাষ্ট্রে সন্দ্বীপ সোসাইটির কর্মকর্তারা জানান, প্রচলিত রীতি অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের অনুমতিসাপেক্ষে সোসাইটির নিজস্ব কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
এর আগে ৮ এপ্রিল ব্রঙ্কসের মন্টিফিউর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন মফিজুল হক (৬৭)। পারিবারিক সূত্রে বলা হয়, শেরপুর জেলা সদরের বাজিতখিলা ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের মফিজুল হক স্বজনের সাথে নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কসেই বসবাস করছিলেন।
এনিয়ে নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সিতে মোট ৯৮ বাংলাদেশির মৃত্যুর নিশ্চিত খবর পাওয়া গেল। উল্লেখ্য, আগের তুলনায় গত দুই দিনে মৃত্যুর সংখ্যা কমায় কমিউনিটিতে স্বস্তি পরিলক্ষিত হচ্ছে। যদিও ১০ এপ্রিল পর্যন্ত নিউইয়র্ক সিটিতে মোট ৫০৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ৯৪৬০৯ জন হলেও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৫৯২০ জন। এরমধ্যে ৫ শতাধিক বাংলাদেশিও রয়েছেন বলে হাসপাতাল ও কমিউনিটি সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে, মিশিগানে বাংলাদেশি অধ্যুষিত ডেট্রয়েট থেকে সাংবাদিক আশিক রহমান ১০ এপ্রিল জানান, সোনালী ব্যাংক, সিলেট টিলাগড় শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ও হিন্দু কালচারাল এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অসমঞ্জ কুমার ধর গত ৬ এপ্রিল রাতে মিশিগানের ওয়ারেন সিটির সেন্টজন্স হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে পরলোক গমন করেন। এ সময় তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি ১৯৯৭ সালের জুলাই মাসে সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন।
চট্টগ্রামের ১২ জনের দাফন
উত্তর আমেরিকায় চট্টগ্রাম সমিতির সভাপতি আব্দুল হাই জিয়া জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ যাবত চট্টগ্রামের ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরা সকলেই নিউ ইয়র্ক সিটির বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সমিতির ব্যবস্থাপনায় নিউ জার্সিতে সমিতির নিজস্ব গোরস্থানে তাদের দাফন করা হয়েছে। নিহতরা হলেন ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ ইব্রাহিম, আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, স্বপন রহমান, আয়েশা খাতুন, সাঈদ খালেদ, জয়নাল আবেদীন, নুরুল আনোয়ার, ডা. রেজা চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম। অপর তিনজনের স্বজনেরা নাম গোপন রাখতে অনুরোধ জানিয়েছেন