লোকমান বহিষ্কার না হওয়ায় বিস্মিত সাবের হোসেন

311

ঢাকা: ক্যাসিনোর কাণ্ডে অভিযুক্ত বিসিবি পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়া এখনো ক্রিকেট বোর্ড থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার না হওয়ায় বিস্মিত সাবেক বিসিবি সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী। এ ঘটনায় ক্রিকেট বিশ্বে বিসিবির সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়াও অন্য বোর্ড পরিচালকদের বির্তকিত ঘটনায় নাজমুল হাসান পাপনের নীরব ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সাবের হোসেন।

লোকমান হোসেন ভূঁইয়া বিসিবির প্রভাবশালী বোর্ড পরিচারকদের একজন। দেশে চলমান শুদ্ধি অভিযানে নিজ ক্লাব মোহামেডানে ক্যাসিনো অপকর্মে জড়িয়ে এখন আছেন কারাগারে। ক্যাসিনো হোতা লোকমান আটকের ৩৫ দিন পেরিয়েছে। এ নিয়ে ক্রিকেট বোর্ডে সমালোচনার ঝড় বইয়ে গেছে। কিন্তু তারপরও মুখে কুলুপ বিসিবি। শৃঙ্খলার ব্যাপারে বরাবরই বিসিবি সভাপতি জিরো টলারেন্সের কথা বলেও এখনো তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় বিস্মিত সাবেক বোর্ড সভাপতি সাবের হোসেন।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, যতদিন পর্যন্ত বিচারের কার্যক্রম শেষ না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত তাকে সাসপেন্ড করা উচিত। ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুলের ক্ষেত্রে আসল তখন কী হলো? তখন তো কোনও সুনিদিষ্ট অভিযোগ আসেনি। তারপও তাকে তো তড়িতগতিতে ব্যবস্থা নেওয়া হলো। এখন লোকমান সভাপতির বন্ধু হওয়ায় কী অনীহা?

শুধু লোকমান হোসেন কাণ্ডে বিব্রত বিসিবি তাও কিন্তু নয়। এর আগে আরেক বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন দলের প্রধান কোচের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় কলম্বোতে ক্যাসিনো খেলায় মেতে উঠে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেন। এছাড়াও বেশ কয়েকজন বোর্ড পরিচালকের বির্তকিত ঘটনায় দারুণভাবে ক্রিকেট বিশ্বে ইমেজ সংকটে পড়ে ক্রিকেট বোর্ডের। আর এতেই একহাত নিলেন সাবের হোসেন।

বিসিবির সাবেক সভাপতি আরও বলেন, নামগুলো আমিও শুনেছি। সভাপতি যদি কাছের লোক মনে করে চলেন সেগুলো সভাপতির। বাংলাদেশ নিয়ে একটা পক্ষ-বিপক্ষ তৈরি হয়েছে।

দায়িত্বপ্রাপ্ত বোর্ড পরিচালকদের বির্তকিত কর্মকাণ্ড আর ক্রিকেটারদের অপ্রত্যাশিত ঘটনায় দেশের ক্রিকেট গভীর সংকটে বলেও মন্তব্য সাবেক এ বিসিবি সভাপতির।

Leave A Reply

Your email address will not be published.