মুদ্রা পাচার করছে উবার

236

ঢাকা: জনপ্রিয় রাইড শেয়ারিং কোম্পানি উবারের বিরুদ্ধে বৈদেশিক মুদ্রা পাচারের অভিযোগ উঠেছে। যেসব রাইডার উবার সেবা গ্রহণ করে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করছে তাদের অর্থ সরাসরি চলে যাচ্ছে উবারের প্রধান অ্যাকাউন্টে। এ বিল পরিশোধ হচ্ছে মার্কিন ডলারের মাধ্যমে। অথচ স্থানীয়ভাবে সেবা দেওয়া হলে তার অর্থ স্থানীয় মুদ্রায় নেওয়ার কথা।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে সাধারণত দুই ধরনের ক্রেডিট কার্ডে উবারের বিল পরিশোধ করা হয়। স্থানীয় রাইডার কোম্পানিগুলো লোকাল ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বিল সংগ্রহ করলেও উবার আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডে যাত্রীদের চার্জ করে। মূলত এই অর্থ সরাসরি চলে যাচ্ছে উবারের বিদেশি অ্যাকাউন্টে।

বিষয়টি সম্প্রতি বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর নজরে আসে। ব্যাংকগুলো তাদের ক্রেডিট কার্ড হোল্ডারদের চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে সতর্ক করেছে। একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ডিভিশন থেকে কার্ড গ্রহীতাদের চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, সাধারণত আন্তর্জাতিক কার্ডে ট্রাভেল কোটায় ডলার ইস্যু করা হয়। এই অর্থ ভ্রমণের সময়ে হোটেল বিল, খাওয়া-দাওয়া, কেনাকাটা প্রভৃতি কাজে ব্যবহার করার কথা। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কার্ড হোল্ডাররা তাদের আন্তর্জাতিক কোটা থেকে উবারকে বিল পরিশোধ করছেন। ঐ ব্যাংকের মতে, ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন অনুযায়ী ট্রাভেল কোটা থেকে কোনো অর্থ স্থানীয় সেবা প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করা যাবে না।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইত্তেফাককে বলেন, বিষয়টি এখনো আমাদের নজরে আসেনি। রাইড শেয়ারিং কোম্পানি বাংলাদেশে নতুন এসেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক শিগগিরই একটি সার্কুলার জারি করবে বলে তিনি জানান। এদিকে উবারের বিরুদ্ধে শুধু বৈদেশিক মুদ্রা পাচারই নয়, কর ফাঁকির অভিযোগও উঠেছে। উবার বৈদেশিক মুদ্রায় যে আয় করছে তা সরাসরি বিদেশে জমা হওয়ায় সে অর্থের করও পরিশোধ করছে না কোম্পানিটি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.