বাংলাদেশে হালাল সার্টিফিকেশন সেন্টার করতে চায় আমিরাত

246

ঢাকা: এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ হালাল সার্টিফিকেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।

শনিবার এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত সায়িদ মোহাম্মেদ আল্মহেইরির সঙ্গে এফবিসিসিআই নেতাদের এক বৈঠক হয়। বৈঠকে তিনি এই আগ্রহের কথা জানান।

এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দুবাইয়ের আরএসিএস কোয়ালিটি সার্টিফিকেটস ইস্যুয়িং সার্ভিসেসের কনফোর্মিটি ডিরেক্টর ড. সামিয়া আবদেল লতিফ।

সভায় রাষ্ট্রদূত সায়িদ মোহাম্মেদ আল্মহেইরি একটি পূর্ণাঙ্গ হালাল সার্টিফিকেশন সেন্টার স্থাপনে বাংলাদেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাথে একযোগে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, গ্লোবাল হালাল সার্টিফিকেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা হলে পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের গুণগতমান, নিরাপত্তার দিকটিকে গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন স্তরে হালাল সাপলাই চেইন প্রতিষ্ঠিত হবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, হালাল প্রক্রিয়াজাতকরণ সম্পর্কিত কারিগরি জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এফবিসিসিআই তার পাঁচ শতাধিক সদস্য সংগঠন এবং দেশের তিন কোটি উদ্যোক্তাদের সাথে নিয়ে প্রচারণা চালবে। যার ফলে বাংলাদেশ থেকে গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি) এবং মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলোতে হালাল রপ্তানি সহজ হবে।

দুবাইয়ের আরএসিএস কোয়ালিটি সার্টিফিকেটস ইস্যুয়িং সার্ভিসেস-এর কনফোর্মিটি ডিরেক্টর ড. সামিয়া আবদেল লতিফ তার হালাল সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়ার গভীর পর্যবেক্ষণের কথা তুলে ধরেন। ইসলামিক বিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞানী এবং অডিটরদেরকে নিয়ে প্রশিক্ষণ মডিউলকে ডেভেলপ করতে এফবিসিসিআইয়ের কাছে সহযোগিতার আহ্বান জানান ড. সামিয়া। তিনি এফবিসিসিআইকে ইন্টারন্যাশনাল হালাল এক্রিডেটশন ফোরাম (আইএইচএএফ)-এর সদস্য হওয়ারও আহ্বান জানান।

এছাড়াও দু’দেশের মধ্যে প্রতিনিধিদল বিনিময়সহ ইউএই বাংলাদেশ ইকনোমিক কাউন্সিলে বেসরকারি খাতের অন্তর্ভুক্তির বিষয়েও আলোচনা হয়।

এফবিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি মুনতাকিম আশরাফ, এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ, এফবিসিসিআই পরিচালক জনাব নিজাম উদ্দিন, মি. সুজিব রঞ্জন দাস এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীরা আলোচনায় অংশ নেন।

২০১৯ অর্থবছরে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১.৫৭ বিলিয়ন ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে যেখানে রপ্তানির পরিমাণ ০.৩৪ এবং আমদানির পরিমাণ ১.২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

Leave A Reply

Your email address will not be published.