‘যারা নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটায় তাদের স্বাভাবিক মৃত্যু হয় না’

360

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওায়দুল কাদের বলেছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড যারা ঘটায় তাদের স্বাভাবিক মৃত্যু হয় না। নবাব সিরাজউদ্দৌলার হত্যাকারী ষড়যন্ত্রকারী মীর জাফরসহ অন্যদের মৃত্যুর প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দিকে তাকালেও একই বিষয় পরিলক্ষিত হয়।

মঙ্গলবার যুব মহিলা লীগ আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দুপুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়।

পৃথিবীর বিভিন্ন নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে কাদের বলেন, কারবালার হত্যাকাণ্ডের সময়ও কোনো নারী এবং শিশুকে হত্যা করা হয়নি। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। সে হত্যাকাণ্ড থেকে শিশু রাসেল এবং অন্তঃসত্ত্বা নারীও বাদ যায়নি। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জিয়াউর রহমান যদি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিদেশে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা না করতেন, বিদেশে দূতাবাসে চাকরি না দিতেন, ইনডেমনিটি আইন করে হত্যাকারীদের বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ না করতেন, তাহলে হয়তো তাকেও এভাবে মরতে হতো না।

যে বুলেট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছে সেই বুলেটের আঘাতেই খালেদা জিয়াও বিধবা হয়েছেন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পঁচাত্তর সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমান।

রোহিঙ্গাদের নিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা হচ্ছে অভিযোগ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ে যারা নোংরা খেলায় মেতেছে তাদের বিষয়ে আমাদের কাছে তথ্য আছে। সময়মতো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত আছে। আমাদের দেশীয় কিছু গোষ্ঠীও আছে, যারা কোটা আন্দোলন এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ওপর ভর করে ক্ষমতায় যেতে চায়, তারাই রোহিঙ্গাদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।

যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা। প্রধান বক্তা ছিলেন যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল।

Leave A Reply

Your email address will not be published.