শোকাবহ আগস্টে বঙ্গবন্ধু পরিষদ যুক্তরাষ্ট্র শাখার সর্বধর্মীয় প্রার্থনা ও আলোচনা সভা

278

নিউইয়র্কঃ বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদ, যুক্তরাষ্ট্র শাখার উদ্যোগে পালিত হল জাতীয় শোকদিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকী। গত ২০শে আগষ্ট ২০১৯, মঙ্গলবার নিউইয়র্কের জ্যামাইকার স্টার কাবাব রেস্টুরেন্টে সর্বধর্মীয় প্রার্থনা ও আলোচনার মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টে স্বাধীনতা বিরোধী খুনী চক্রের হাতে নিহত সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

বঙ্গবন্ধু পরিষদ, যুক্তরাষ্ট্র শাখার সহসভাপতি ফাহিম রেজা নূরের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাফায়েত চৌধুরী সঞ্চালনায় সভার শুরুতেই এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পবিত্র কোরান থেকে তেলওয়াত ও দোয়া পরিচালনা করেন ইমাম ফয়সাল নওয়াজ, পবিত্র গীতা পাঠ ও প্রার্থনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অভিনাস আচার্য, পবিত্র ত্রিপিটক পাঠ ও প্রার্থনা করেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বীকৃতি বড়ুয়া।

আলোচনা সভায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ, ১৫ই আগস্ট নির্মম হত্যাকাণ্ড এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন দলের ও নেতৃবৃন্দের ভূমিকা, বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে উন্নয়ন নিয়ে আলোকপাত করেন। বক্তারা বলেন বঙ্গবন্ধু এমন একজন মহান নেতা ছিলেন, যিনি সর্বস্তরের মানুষ এমনকি ধর্মীয় মৌলবাদীদের পর্যন্ত বাঙালী জাতীয়তাবাদে একত্রিত করতে পেরেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানীরাও হত্যা করতে পারত এবং পাকিস্তানে কারাগারে থাকা অবস্থায় পাশে কবর পর্যন্ত কোরা হয়েছিল, কিন্তু তারা বঙ্গবন্ধুর মত বিশাল নেতাকে হত্যা করার সাহস করেনি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে বাঙ্গালীরাই, যে বাঙালীদের অধিকার আদায়ের জন্য তিনি জীবনের সবকিছু বিসর্জন দিয়েছেন। ২১শে আগস্টে গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে সেই বাঙালিরাই আবার বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করার অপচেষ্টা চালায়। বক্তারা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আজ উন্নতির শিখরে নিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু আমরা শঙ্কিত তার জীবন নিয়ে। আমরা বিএনপি কিংবা জামায়েত নিয়ে যত শঙ্কিত নই, তত শঙ্কিত শেখ হাসিনার চারদিকে ঘুর ঘুর করা সুযোগসন্ধানী মোস্তাকের মত নেতাদের নিয়ে। ১৫ই আগস্টের মাধ্যমে বাঙালী জাতির ইতিহাসে কলঙ্কের যে কালিমা লেপন হয়েছে, সেই কলঙ্কের যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেই কামনাই আমরা করি। সবকিছুর ঊর্ধ্বে থেকে আমাদের শেখ হাসিনাকে রক্ষা করতেই হবে, কারণ শেখ হাসিনাই হচ্ছে বাঙালীর শেষ ভরসা। শেখ হাসিনা বাঁচলেই, বাংলাদেশ বাঁচবে।

সভায় বক্তব্য রাখেন চলচ্চিত্রকার কবির আনোয়ার, মূলধারার রাজনীতিবিদ মোরশেদ আলম, সাংবাদিক ফজলুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা শরাফ সরকার, অনলাইন এক্টিভিস্ট রওশন আরা নিপা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব তাহমিনা শহীদ, অধ্যাপিকা হোসনে আরা ও ২১শে আগস্টে গ্রেনেড হামলায় আহত যুবলীগ নেতা স্বপন কর্মকার। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শহীদ উদ্দিন, শহীদ সন্তান শাহীদ রেজা নূর, শাহ আলম বেবী, সমীর ফারুক, প্রমুক।

Leave A Reply

Your email address will not be published.