ঢাকা: বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির সভায় গ্যাসের বর্ধিত দাম বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানানো হয়েছে। সভায় নেতৃবৃন্দ লুটপাটের টাকার যোগান দিতে জনগণের পকেট খালি করা বন্ধের দাবি এবং ১৪ জুলাই জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান।
আজ বুধবার অনুষ্ঠিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন বাম জোটের সমন্বয়ক ও ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু।
সভায় অংশ নেন সিপিবি সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির সদস্য মানস নন্দী, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক ও গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির লিয়াকত আলী।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, এবারের বাজেট বক্তৃতায় সরকার এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিবে না বলে জানানো হলেও বাজেট পাশের দিনই গ্যাসের দাম ৩২ দশমিক ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ফলে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পাবে, ফলশ্রুতিতে সকল ধরনের শিল্প পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে, যা জনগণের দুর্ভোগ বাড়াবে। তাই গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
তারা আরো বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার থেকে যে গ্যাস ভারত কেনে ৬ ডলারে, সেখানে বাংলাদেশ তা কেনে ১০ ডলারে। আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। তারপরও সাধারণ ভোক্তাদের বাড়তি দাম দিতে হচ্ছে। এলএনজি ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিতে এটা করা হচ্ছে বলে তারা দাবি করেন।
‘উন্নয়ন চাইলে গ্যাসের বর্ধিত দাম মেনে নিতে হবে’ প্রধানমন্ত্রীর এ মন্তব্যের জবাবে নেতৃবৃন্দ বলেন, উন্নয়ন হচ্ছে দেশের মাত্র এক শতাংশ লুটেরা ধনিকের। তাহলে বাকি ৯৯ শতাংশ সাধারণ মানুষ কেন তথাকথিত ‘উন্নয়নের প্রসব বেদনা’র শিকার হবে। নেতৃবৃন্দ সরকারের প্রতি গ্যাস নীতি নিয়ে প্রকাশ্য বিতর্কের আহ্বান জানান।