আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞায় স্বাক্ষর করেছেন যার আওতায় থাকছে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা খামেনির কার্যালয় ও সম্পদ।
ট্রাম্প বলেছেন মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করা ও আরও কিছু কারণে অতিরিক্ত এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হচ্ছে।আয়াতুল্লাহ খামেনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফ বলছেন এটি বলেছেন আমেরিকানদের ঘৃণ্য কূটনীতি হিসেবে।
এক টুইট বার্তায় মিস্টার জারিফ ট্রাম্প প্রশাসনকে যুদ্ধে আগ্রহী হিসেবে মন্তব্য করেছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশ দুটির মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
কে ক্ষতিগ্রস্ত হবে?
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট বলেছে আটজন সিনিয়র ইরানি কমান্ডার যারা দেশটির আমলাতন্ত্র ও ইসলামিক রিভলিউশনারি গার্ড বাহিনীকে দেখভাল করে তাদেরকেই লক্ষ্য করা হয়েছে।
তারা বলছে মিস্টার ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের লক্ষ্যে পরিণত হয়েছেন আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির অফিসও।
যুক্তরাষ্ট্র মনে করে মিস্টার খামেনির অনেক সম্পদ আছে যা রিভলিউশনারি গার্ডকে সহায়তা করে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ধারণা এ সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৯৫ বিলিয়ন ডলার।
এমনুচিনের মতে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওপরও নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে এ সপ্তাহের শেষ নাগাদ।
এখন নিষেধাজ্ঞা কেনো?
২০১৮ সালের মে মাসে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করতে শুরু করেছিলো ট্রাম্প প্রশাসন।
তার আগে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে সরে দাড়ায় যুক্তরাষ্ট্র।
এরপর দু দেশের সম্পর্ক গড়ায় তিক্ততার দিকে।
পরে ইরানর ওপর আরও চাপ বাড়ায় যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি ইরানের কাছ থেকে যারা তেল ক্রয় করে তাদেরকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনার পদক্ষেপ নেয় তারা।
পরে উপসাগরে তেলের ট্যাংকারে কয়েকটি হামলার ঘটনাও ঘটে।
এরপর ইরানি কর্মকর্তারা তাদের ইউরেনিয়াম মজুদের সীমা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করে।
এর কয়েকদিনের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন ভূপাতিত করার ঘটনা ঘটে।
ইরান বলছে ড্রোনটি তার ভূখণ্ডে এসেছিলো আর যুক্তরাষ্ট্র বলছে এটি আন্তর্জাতিক জলসীমায় ছিলো।
ইরানের বিপ্লবী রিভলিউশনারি গার্ড বলেছে যে ড্রোন ভূপাতিত করে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে বার্তা দিয়েছে যে ইরানের সীমান্ত তাদের কাছে রেড লাইন।
রিভলিউশনারি গার্ডের একজন পদস্থ কর্মকর্তা বলেছেন ড্রোনের কাছ দিয়েই উড়ে যাচ্ছিলো একটি সামরিক এয়ারক্রাফট যাতে ৩৫ জন যাত্রী ছিলো।
তিনি বলেছেন সেটিও তারা ভূপাতিত করতে পারতেন কিন্তু করেননি।
সূত্র: বিবিসি