খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মিছিল
ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মিছিল করেছে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।
শুক্রবার (২৪ মে) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এ মিছিল শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এতে মহিলা দলের নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন।
মিছিল শেষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত পথসভায় রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের শেষ চিহ্নটুকু মুছে ফেলেছেন। ক্ষমতায় চিরস্থায়ীভাবে থাকার জন্যই ৩০ ডিসেম্বর মধ্যরাতের নির্বাচন করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে রেখেছেন। আর সেজন্যই মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে নির্বাচনের ১০ মাস আগেই বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘ভয়াবহ দুঃশাসন নিয়ে কেউ যেন টুঁ শব্দ করতে না পারে, সে কারণেই বর্তমান শাসককগোষ্ঠী নির্দোষ বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে এখন বাকশালের গুণকীর্তন শুরু করেছেন। সর্বকালে সর্বদেশে অগণতান্ত্রিক একদলীয় সরকার জনগণের স্বার্থের প্রতি উদাসীন থাকে। বাংলাদেশের নব্য বাকশালী সরকার জনস্বার্থকে তোয়াক্কা করছে না বলেই আজ কৃষক-শ্রমিকরা হাহাকার করছেন। কৃষকরা ধানের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে ক্ষেতে আগুন দিচ্ছেন।’
নারী-শিশু নির্যাতনসহ গুম-খুন-অপহরণ-গুপ্তহত্যা ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড জ্যামিতিক হারে বেড়েছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘শ্রমিকরা মাসের পর মাস বেতন না পেয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। দেশজুড়ে চরম নৈরাজ্য বিরাজ করছে। অথচ শেখ হাসিনা কোনো কিছুকে তোয়াক্কা না করে দেশের জমিদার সেজেছেন। দেশের মানুষ ধ্বংস হয়ে যাক, তাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার জনসমর্থনহীন সরকারের কিছুই আসে যায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার একটাই লক্ষ্য— কীভাবে বিএনপি চেয়ারপারসনকে কষ্ট দিয়ে তিলে তিলে নিঃশেষ করে ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করা যায়। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকারের অপশাসন জনগণ সব শক্তি দিয়ে রুখে দেবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে এখন সংগ্রামী জনতা রাজপথে নেমে আসার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।’
মিছিলে অন্যদের মধ্যে অংশ নেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, সিনিয়র সহসভাপতি জেবা খান, মহিলা দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভানেত্রী পেয়ারা মোস্তফা, শামসুন্নাহার বেগম, শাহজাদী কহিনুর, মিনা বেগম, নাজনীন, গুলশান আরা মিতা, নিলুফা ইয়াসমিন নিলু, সাবিনা ইয়াসমিনসহ কয়েকশ নেতাকর্মী।