রাণীর কাছে পরিচয়পত্র পেশ সাইদা মুনা তাসনিমের
নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম ব্রিটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে বাকিংহাম প্যালেসে তাঁর পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত বুধবার পরিচয়পত্র পেশকালে হাইকমিশনারের সঙ্গে তাঁর স্বামী তৌহিদুল আই চৌধুরী এবং হাই কমিশনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সামরিক উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ কে এম আমিনুল হক, মিনিস্টার (কনস্যুলার) মোঃ লুৎফুল হাসান, কমার্শিয়াল কাউন্সিলর এস এম জাকারিয়া হক এবং প্রথম সচিব মোঃ শফিউল আলম।
এর আগে রাণীর প্রতিনিধি ডিপ্লোমেটিক কর্পের মার্শাল অ্যালিস্টার হ্যারিসন কুইন্স গেইটস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনে আসেন এবং হাইকমিশনার, তাঁর স্বামী ও হাই কমিশনের কর্মকর্তাদের রাজকীয় ঘোড়ার গাড়ির বহরে করে বার্কিংহাম প্যালেসে নিয়ে যান। এ সময়ে প্যালেসের সামনে শত শত দর্শক রাজকীয় বহরের প্রতি হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানায় এবং ছবি তোলে।
পারমানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি এবং ব্রিটিশ ডিপ্লোমেটিক কর্পের প্রধান স্যার সাইমন ম্যাকডোনাল্ড, ডিপ্লোমেটিক কর্পের এ্যাসিসটেন্ট মার্শাল এবিগেইল বয়েল এবং রাণীর একজন প্রতিনিধি প্যালেসের প্রধান ফটকে হাইকমিশনারকে অভ্যর্থনা জানান।
প্যালেসের নির্ধারিত কক্ষে প্রবেশের পর মার্শাল হাইকমিশনার ও তাঁর স্বামীকে রাণীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর হাইকমিশনার তার পরিচয়পত্র রাণীর নিকট হস্তান্তর করেন। এ সময়ে হাইকমিশনার বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উষ্ণ শুভেচ্ছা বার্তা রাণীকে অবহিত করেন।
তিনি ১৯৬১ সালে ঢাকা এবং ১৯৮৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে রাণীর সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মনে তিনি এক বিশেষ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার স্থান দখল করে আছেন।
হাইকমিশনার ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময়ে ব্রিটিশ সরকার ও জনগনের সমর্থন এবং ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সময়ে লন্ডনে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনার কথাও স্মরণ করেন।
পরিচয়পত্র পেশ করার পর ডিপ্লোমেটিক কর্পের এ্যাসিসটেন্ট মার্শাল এবিগেইল বয়েল হাইকমিশনার ও তাঁর সংগীদের রাজকীয় ঘোড়ার গাড়ির বহরে করে বাকিংহাম প্যালেস থেকে সেন্টস জেমস কোর্টে (তাজ হোটেল) নিয়ে যান। সেখানে পরিচয়পত্র প্রদান পরবর্তী এক অভ্যর্থনার আয়োজন করা হয়। অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন উপস্থিত ছিলেন।