শপথ নিলেন জাহিদুর রহমান, প্রতিক্রিয়ায় যা বললেন গয়েশ্বর
ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচিতরা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শপথ নিলে তারা ‘গণদুশমন’ বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বৃহস্পতিবার(২৫ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিকদের ব্যানারে এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও–৩ আসন থেকে নির্বাচিত বিএনপি নেতা জাহিদুর রহমান আজ শপথ নিয়েছেন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে স্পিকার শিরীর শারমিন চৌধুরী তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান।
এর প্রতিক্রিয়ায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘দলের সিদ্ধান্ত, দলের আদর্শ এবং নেত্রীকে জেলখানায় রেখে কেউ যদি শপথ নিয়ে থাকে বা ভবিষ্যতে নেয়, তারা জাতীয়তাবাদী দলের শক্তির সঙ্গে চলার যোগ্যতা রাখে না। তারা হলো গণদুশমন এবং জনগণই তাদের বিচার সময়মতো করবে।’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ উল্লেখ করে বিএনপি এই নেতা বলেন,‘সেখানে ভোট কারচুপি হয়েছে। সরকার জনগণের সঙ্গে থাকতে পারেন নাই,কারণ জনগণ মনে করে এই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ। সে ক্ষেত্রে বিএনপি থেকে যিনি নির্বাচিত হয়েছেন ব্যক্তিগত স্বার্থে তিনি শপথ নিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরামে এটি সিদ্ধান্ত আগেই হয়ে গেছে যে বিএনপি এবারের সংসদে যোগ দেবে না। সে ক্ষেত্রে আজ সংসদে যিনি যোগ দিয়েছেন বা বাকি যারা সংসদে যাবেন তারা ব্যক্তিগত স্বার্থেই সংসদে যোগ দেবেন।’
যারা শপথ নিয়েছেন তারা জনগণের সঙ্গে থাকতে পারেননি জানিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন,‘বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে জেলে আছেন। তাই তাকে রেখে সংসদে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। সে ক্ষেত্রে শপথ নেওয়াটা একটা প্রতারণা।’
জাহিদুর রহমানের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন,‘সিদ্ধান্তের জন্য তাকে অপেক্ষা করতে হবে। জনগণও তাকে ক্ষমা করবে না। দল থেকে তার বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এ সময় দল থেকে জাহিদুর রহমানকে বহিষ্কার করা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে (পীরগঞ্জ–রানীশংকৈল) তিন সাবেক সাংসদকে হারিয়ে বিএনপির প্রার্থী জাহিদুর রহমান নির্বাচিত হন। রংপুর বিভাগের মধ্যে জাহিদুর রহমানই একমাত্র বিএনপির প্রার্থী, যিনি জয়ী হতে পেরেছেন। জাহিদুর রহমান (ধানের শীষ) ৮৮ হাজার ৫১০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ইমদাদুল হক। তিনি ৮৪ হাজার ৩৮৫ ভোট পান।