জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনে বাঙালিয়ানার স্পন্দন

316

নিউইয়র্ক: জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনকে বাংলা নববর্ষ-১৪২৬ উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সাজানো হয় মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তন। ১৮ এপ্রিল এই আনন্দঘন অনুষ্ঠানে যোগ দেন জাতিসংঘে বিভিন্ন দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি, কনসাল জেনারেল, সিনিয়র কূটনীতিক, জাতিসংঘের কর্মকর্তা ও তাদের পরিবার। ভারত, শ্রীংলকা, নেপাল, সৌদি আরব, মিশর, ইতালি, ব্রাজিল, বেনিন, এন্ডোরা, বারবাডোস, কলম্বিয়া, এস্তোনিয়াসহ ৪০ দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও পদস্থ কূটনীতিকরা এতে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও ছিলেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ও প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির বরেণ্য নারীরা। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানটির তত্ত্বাবধান ও পরিকল্পনায় ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন এর সহধর্মীনি ফাহমিদা জাবিন।মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনকে আবহমান বাঙালির সংস্কৃতির অসংখ্য উপাদান যেমন ঢাক-ঢোল-একতারা, পালতোলা নৌকা, ডালা-কুলা, তালপাতার পাখা, নকশী কাঁথা, মাটির পুতুল, মাটির থালা-বাসন, কাঁচের চুড়ি, মাছ ধরার পলো, পালকি, পাটের সুতার সিকা, আলপনা ও নানা-বর্ণের ব্যানার-ফেস্টুন-বেলুন ও শাড়ি দিয়ে সাজানো হয়।

 অনুষ্ঠানের শুরুতে ঐতিহ্যবাহী মঙ্গল শোভাযাত্রার উপর একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর স্বাগত বক্তব্য দেন রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। বর্ণিল এই অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্ব শুরু হয় দলীয় নৃত্যের মাধ্যমে। সাংস্কৃতিক পর্বের অন্যতম আকর্ষণ ছিল ‘সৃষ্টি ড্যান্স একাডেমি’র পরিবেশনা।  বৈশাখী সন্ধ্যার আনন্দঘন এই আয়োজন উপভোগ করেন ভিনদেশী, ভিন্ন সংস্কৃতির প্রায় দুইশতাধিক মানুষ। তাদের অনেকের মুখেই ছিল বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা। খাবারের মধ্যে ছিল ঘরে তৈরি পিঠা-পুলি, নাড়ু, মুড়ি-মুড়কি-মুয়া, সাজ-বাতাসা, পায়েস, মিষ্টিসহ অন্যান্য বাঙালি খাবার। শুভেচ্ছা বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বিদেশী অতিথিদের সামনে বাংলা নববর্ষের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার বিরবণ তুলে ধরেন। 

Leave A Reply

Your email address will not be published.