চমক দিয়ে আসছে বিশ্বকাপে নিজের ওপেনিং সঙ্গীর নাম জানালেন তামিম
স্পোর্টস ডেস্ক: টানা তিন ম্যাচে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন প্রাইম ব্যাংকের অধিনায়ক বিজয়। শেষ ম্যাচে ১২৮ বলে ১০২ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ২টি ছয়ের মার। আগের দুই ইনিংসে করেন যথাক্রমে ১০০ রান ও ১০১ রান। ম্যাচ শেষে কথা বলেছেন নিজের ইনিংস ও বিশ্বকাপের স্বপ্ন নিয়ে।
টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই বিজয়ের লক্ষ্য ছিল ভালো কিছু করার। বিপিএলে নিজের মতো করে খেলতে না পারারও আফসোস আছে তার, ‘আসলে টুর্নামেন্টের শুরুতেই নিজের মধ্যে একটা চ্যালেঞ্জ ছিল যে বিপিএলটা নিজের মতো করে খেলতে পারিনি। তার আগে বিসিএল যে টুর্নামেন্টটা ছিল ওটা বেষ্ট ব্যাটসম্যান (সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক) হিসেবে ছিলাম। দুইটা দ্বিশতক ছিল। খুব ভালো বিসিএল গেছে।’
বরাবরই আসন্ন ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ খেলার জন্য স্বপ্ন দেখছেন বলে জানান তিনি, ‘আসলে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে যখন চোটে পড়ে ফিরে আসি তখন থেকেই ইচ্ছা ছিল, এইবার পারলাম কিন্তু ২০১৯ বিশ্বকাপে সেটা করবো। গত তিন-চার বছর ধরেই ওই স্বপ্ন নিজের মধ্যে ছিল এবং আছে। যদি আমি সেঞ্চুরি নাও করতাম তাও স্বপ্ন দেখতাম। বিশ্বকাপ দলে থাকবো এবং বিশ্বকাপে খেলবো।’
আগের থেকে বেশকিছু পরিবর্তন দেখা যায় এখন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের। কোচদের সহায়তা ও নিজের কঠোর পরিশ্রমেরই ফল এটা বলে মনে করেন তিনি, ‘আবার প্রিমিয়ার লিগে খুব ফোকাস ছিলাম। অনেক প্রাকটিস করেছি, জিম সেশন বলেন, রানিং সেশন বলেন কঠোর পরিশ্রম করেছি। তো এই ব্যাপারটাই আমি চেষ্টা করেছিলাম। মনে প্রাণে চাচ্ছিলাম যেন প্রত্যাশিত ফলফলটা আসে। তো সেটারই আমি মনে করি ফল। আল্লাহর কাছে অনেক কৃতজ্ঞতা। এটা অনেক বড় একটা প্রাপ্তি। আমি প্রতি ম্যাচ বাই ম্যাচ চেষ্টা করেছি। এজন্য প্রতি ম্যাচেই রান পেয়েছি। এভাবেই চেষ্টা করবো রান করার। আর দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।’
তিনি আরো বলেন, ‘টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে বাউন্ডারি বেশি হয় একরানের থেকে। একটা সময় যখন ছোট ছিলাম মনে করতাম এটা চার-ছয়েরই খেলা। আস্তে আস্তে যখন অভিজ্ঞতা বাড়ছে তখন বুঝছি সেটা আসলে না। এটা দিন দিন উন্নতি করার চেষ্টা করছি। স্যারদের সাথে যোগাযোগ করেছি যে এই সেট আপটা কখন কীভাবে করলে ভালো হয়। আমি মনে করি, এই অনেক কিছু চেষ্টার ফলে এখন সফলতা পাচ্ছি।’
বিশ্বকাপ দল নির্বাচনে টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তই সর্বোচ্চ মানেন তিনি। নিজেও সর্বদা দেশের জন্য মাঠে নামতে প্রস্তুত বলে জানান বিজয়, ‘তাছাড়া টিম ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার। বাংলাদেশ দলের জন্য কোন ক্রিকেটারকে নেয়া প্রয়োজন। অবশ্যই বাংলাদেশ দল সবার আগে। সেটা কোনো ব্যক্তির সাথে যাবে না। আমার মনে হয় দেশের জন্য যেকোনো খেলোয়াড় যেকোনো সময় খেলতে পারে। দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য আমি শতভাগ প্রস্তুত আছি।’
সামনেই ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। মে মাসের শেষের দিকে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের হাতে সময় আছে এখন কেবল ২-৩ মাস। এর মধ্যেই বিশ্বকাপ দল গোছাতে হবে টাইগারদের।
কিন্তু কিউইদের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচেই ভরাডুবির পর বিশ্বকাপে টাইগার একাদশ নিয়ে তৈরি হয়েছে বহু প্রশ্ন। এমনিতেই দলের বাহিরে আছেন সাকিব অন্যদিকে বিপিএলে দূর্দান্ত পারফম করা রুবেলও জায়গা পাচ্ছেন না নিয়মিত একাদশে। এ দুজনের বাহিরেও রয়েছে আরেক দূর্ভাগা ওপেনার ইমরুল কায়েসের নাম। ওপেনিংয়ে লিটন, সৌম্যদের চেয়ে পরিসংখ্যান ও পারফম্যান্সের বিচারে এগিয়ে থেকেও দলে জায়গা হচ্ছে না তার।
এই সকল বিতর্ক ঠেলে দিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে রুবেল ও সাকিব নিয়মিত একাদশে ফিরলে টাইগারদের এই একাদশ থেকে বাদ পড়বেন কোন ২ জন?একটু হিসেব মিলিয়ে দেখা যাক। ওপেনিংয়ে টাইগার একাদশে প্রথম পছন্দ তামিম ইকবাল। দেশসেরা এই ওপেনারের সঙ্গী হিসেবে অনেককেই ঘুড়িয়ে ফিরিয়ে দেখা হয়েছে। কিন্তু কেউই সফল হতে পারেননি।
তবে তামিমের কন্ঠে রয়েছে ভিন্ন সুর, তামিম বলেন, ‘সাদমানের ব্যাটিং আমার কাছে ভালো লেগেছে। দুর্ভাগ্য যে ২০-২৫ রানে আউট হয়ে যাচ্ছে। চারটা ইনিংস দেখে মনে হয়েছে অনেক কম্প্যাক্ট। তবে সে এমন জায়গায় খেলছে, এখানে ভালো করা সহজ নয়।’
টেস্ট ক্রিকেটে নতুন সাদমানের ব্যাটিং সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা যারা ১০-১২ বছর ধরে খেলছি। নিউজিল্যান্ডে এটা আমার তৃতীয় সফর। একটু হলেও জানি এখানে কী করণীয়। ও সেখানে ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট খেলছে। ও এখানে যে নিঁখুত ব্যাটিং করছে, এটা ইতিবাচক দিক। এখন যে ভুল করছে, আশা করি সামনে সেটি সে করবে না।’তিনি আরো বলেন আমি আশাবাদী বিশ্বকাপের ম্যাচেও সে নিরাশ করবে নাহ।