রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিওগুলোর উদ্দেশ্য কী, জানালেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা: টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিওগুলো খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ করছি যে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কিছু এনজিও আছে, যারা ইল মোটিভ (খারাপ উদ্দেশ্য) নিয়ে কাজ করছে। আমাদের গোয়েন্দা রিপোর্টে তা উঠে এসেছে।’
বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে ওই সভা সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে। জাতীয় নির্বাচনের পর এটিই আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির প্রথম সভা।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘ আপনারা শুনলে অবাক হবেন যে, গত সেপ্টেম্বরের পর থেকে এ পর্যন্ত এনজিওগুলো আবাসিক হোটেলগুলোর বিলই দিয়েছে দেড়শ কোটি টাকার উপরে। ফ্ল্যাট ও বাসা বাড়ি ভাড়া দিয়েছে প্রায় আট কোটি টাকা। বিদেশ থেকে টাকা এনে খরচ করার কথা রোহিঙ্গাদের জন্য, অথচ সেই টাকার ২৫ ভাগও তাদের জন্য খরচ হয় না। ৭৫ ভাগই খরচ হয় যারা দেখাশোনার জন্য আসেন তাদের জন্য। এটা খুবই দুঃখজনক। এই এনজিওগুলোকে চিহ্নিত করার জন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের বিষয়ে বিদেশি কিছু সংস্থার মতামতের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব কী? সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে, যাদের আশ্রয় দিয়েছি, তাদের নিরাপত্তা, খাদ্য ও মানবিক বিষয়গুলো দেখাশোনা করা। তাদের কোথায় রাখবে, ভাসানচরে নেবে- কি নেবে না, সেটা বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব ব্যাপার। এনজিওগুলোর দেখার বিষয় রোহিঙ্গাদের মানবিক বিষয়গুলো সরকার দেখছে কিনা। সে ব্যাপারে তাদের মতামত থাকলে সরকার বিবেচনা করবে।’
কবে নাগাদ রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নেওয়া হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার সাধ্যমতো চেষ্টা করছে। সেখানে কিছু প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে রোহিঙ্গাদের সেখানে স্থানান্তর করা হবে। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে আমরা সন্তুষ্ট।’
মন্ত্রিসভার এই বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ মন্ত্রিসভা কমিটির অন্য সদস্য ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।