কীভাবে অন্তঃসত্ত্বা বীনা ওএসডি হলো জানতে চাই : শামীম ওসমান

307

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেন, আমার এলাকার সদর উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা অন্তঃসত্ত্বা হোসনে আরা বেগম বীনাকে কীভাবে ওএসডি করা হয়েছে তা জানতে চাই?

সোমবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারণী আলোচনায় তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রীকে উদ্দেশ করে এ প্রশ্ন করেন।

অনির্ধারণী আলোচনার শুরুতেই সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এ বিষয়টি সংসদে উত্থাপন করেন। এরপর এ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন এমপি শামীম ওসমান।

শামীম ওসমান বলেন, এই ঘটনায় আজ আমি জনপ্রশাসন মন্ত্রীকে বহুবার ফোন করেছিলাম। হয়ত আমার নম্বরটা তার কাছে নেই বলে তিনি ধরেননি। এই ঘটনা আমার এলাকায় হওয়ায় আমিও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছি। কেন, কীভাবে তাকে ওএসডি করা হলো তা জানতে চাই।

ওই নারীকে নিজের বোনের সঙ্গে তুলনা করে শামীম ওসমান বলেন, আমি এই সময় ওমরায় ছিলাম। এই ঘটনার জন্য অত্যন্ত দুঃখিত ও লজ্জিত। আমার নির্বাচনী এলাকা হিসেবে সার্টিফায়েড করতে চাই-ওই কর্মকর্তা অত্যন্ত কর্মঠ ও যোগ্য ছিলেন। নির্বাচনের সময় তাকে আমি অন্য জায়গায় বদলি হয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করলেও তিনি রাজি ছিলেন না। বরং কাজ করতে পারলে তিনি ভালো থাকবেন বলে জানান।

তিনি বলেন, আমি মানুষ হিসেবে বলছি, আশা করি এ ব্যাপারে জনপ্রশাসন মন্ত্রী সংসদে বক্তব্য দেবেন। তাকে বদলি নয়, কেন ওএসডি করা হলো তা তদন্ত করে বের করুন। আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি তার বাচ্চাটা যেন হায়াত দারাজ করেন। বাচ্চাটা যদি কিছু হয় আমি নিজেকেও ক্ষমা করব না।

প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ গণমাধ্যমে বেশ আলোচিত ইউএনও হোসনে আরা বেগম বীনা।

দীর্ঘ ৯ বছরের দাম্পত্য জীবনে প্রথম মা হয়েও সন্তানকে বুকে জড়িয়ে ধরতে পারছেন না তিনি।

জন্মের দিন থেকেই হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে অপরিপক্ক শিশুটিকে।

নিজের নিষ্পাপ সন্তানের কী দোষ ছিল এমন আর্তি জানিয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ফেসবুকে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন ইউএনও হোসনে আরা বেগম বীনা।

এরপরই স্ট্যাটাসটিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ করলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ দেশজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়।

এর আগে রবিবার হোসনে আরা বীনাকে টেনশনমুক্তভাবে বিশ্রামে থাকতেই ওএসডি করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এপিডি) শেখ ইউসুফ হারুন।

তিনি বলেছিলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিষয়টি আমরা দেখেছি। সামনে যেহেতু উপজেলা নির্বাচন, মূলত তার ওপর মানসিক চাপ কমাতে এবং টেনশনমুক্তভাবে বিশ্রামে থাকতে পারেন সে জন্য ওএসডি করা হয়েছে। অন্য কোনো কারণ নেই।’

বিষয়টি অনাকাঙ্খিত বলেও মন্তব্য করেন শেখ ইউসুফ হারুন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.