বিপিএল ২০১৯, চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা
স্পোর্টস ডেস্ক: জিততে হলে করতে হবে ২০০ রান। এমন পাহাড়সম রান তারা করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার খেলে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান করে ঢাকা ডায়নাইটস। যার ফলে ১৭ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় সাকিবের ঢাকা ডায়নামাইটস। ওভারের প্রথম দ্বিতীয় বলে রান আউটের শিকার হয়ে ফিরে যায় সুনিল নারাইন। তখন ঢাকার দলীয় রান ০। এরপর ক্রিজে আসেন রনি তালুকদার। ব্যাট করতে নেমেই দারণ ভাবে মোকাবেলা করেন কুমিল্লার বোলারদের। রনি তালুকদারের সাথে রান তোলার মিছিলে যোগ দেন উপুল থারাঙ্গাও। এরপর ১০২ রানের জুটি করে ফিরে যায় থারাঙ্গা। আউট হওয়ার আগে করেন ২৭ বলে ৪৮ রান। তারপর সাকিবকে নিয়ে আবারো কুমিল্লার বোলাদের উপর চরাও হয় রনি তালুকদার। কিন্তু রনিকে বেশীক্ষন সঙ্গ দিতে ব্যার্থ হন ঢাকার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দলীয় ১২০ রানে ওহাব রিয়াজকে মারতে গিয়ে তামিমের হাতে ক্যাচ দিতে প্যাভিলিয়নের পথে ফিরে যান সাকিব। তারপর আর বেশিক্ষন ক্রিজে থাকতে পারেননি রনি তালুকদার। দলীয় ১২১ রানে রান আউটে কাটা পরে ৩৮ বলে ৬৬ রান করে ফিরে যায় সাজঘরে। তবে ফাইনাল ম্যাচে ব্যার্থ ছিলেন ক্যারিবীয় দুই তারকা পোলর্ড (১৩) ও রাসেল (৪)। আর ১৫ বলে ১৮ রান করে ফিরে যান নুরুল হাসান। এর পর শেষ চেষ্টা করেও পরাজয় এরাতে পারেনি ঢাকা।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার খেলে তামিম ইকবালের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রান করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সন্ধ্যা ৭ টায় মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয়।
বিপিএলের ইতিহাসে তামিম ইকবাল ফাইনাল খেলার সুযোগ পেয়েছেন এই একবার। আর সেই ম্যাচে ব্যাট হাতে অনবদ্য তামিম। দেশসেরা এই ওপেনারের ব্যাট হতে আসে ৬১ বলে ১০ চার আর ১১ ছয়ে অপরাজিত ১৪১ রান। বিপিএল তো বটেই, সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও এটাই তামিম ইকবালের এক ম্যাচে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ এবং বিপিএল ইতিহাসের ব্যক্তিগত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
কুমিল্লা ব্যাট করতে নেমে শুরুটা সাদামাটা হয় কুমিল্লার দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এভিন লুইসের। দলীয় ৯ রানের মাথায় রুবেল হোসেনের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যায় লুইস। আউট হওয়ার আগে করেন ৭ বলে ৬ রান। লুইস যখন সাজঘরে ফিরে যায় তখন তামিমের সঙ্গী হিসাবে মাঠে আসেন আনামুল হক বিজয়। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানকে সাথে নিয়ে পাওয়ারপ্লেতে তামিম ও বিজয় জুটি করেন ৪০ রান।
এরপর দেখে শুনে কুমিল্লার রানের চাকা সচল রাখেন ডেসিং ওপেনার তামিম কিন্তু দলীয় ৬৩ রানে জীবন ফিরে পান তামিম ইকবাল। তার ক্যাচটি নিতে ব্যার্থ হন ক্যারিবীয় তারকা আন্দ্রে রাসেল। এরপর দলীয় ৯৮ রানে সাকিবের বলে এলবিডব্লিউর ফাদে পরেন আনামুল হক বিজয়। আউট হওয়ার আগে করে ৩০ বলে ২৪ রান। তারপর তামিমের সাথে ভুলবুঝাবুঝিতে দ্রুত রান আউট হয়ে ফিরে যান শামসুর রহমান। আর পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি কুমিল্লার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ঢাকা ডাইনামাইটস: ১৮২/৯ ( ২০ ওভার)।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ১৯৯/৩ ( ২০ ওভার)।
টার্গেট: ২০০
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স একাদশ: তামিম ইকবাল, এভিন লুইস, ইমরুল কায়েস (অধিনায়ক), আনামুল হক বিজয়, শামসুর রহমান, শহীদ আফ্রিদি, থিসারা পেরেরা, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, ওয়াহাব রিয়াজ, মাহেদী হাসান, সঞ্জিত সাহা।
ঢাকা ডাইনামাইটস একাদশ: উপুল থারাঙ্গা, সুনিল নারাইন, রনি তালুকদার, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), কিরন পোলার্ড, আন্দ্রে রাসেল, নুরুল হাসান, মাহমুদুল হাসান, শুভগতা হোম, রুবেল হোসেন, কাজী অনিক।