কারা হচ্ছেন সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি?

334

ঢাকা: মন্ত্রিসভার মতোই চমক থাকছে সংরক্ষিত নারী আসনে। এ ক্ষেত্রে অধিকতর তরুণ ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তিসম্পন্নদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত ৫০ আসনে এমপি হতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন ৫ শতাধিক নারী। লবিং, তদবির করছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয়, সহযোগী সংগঠনের নারী নেত্রীরা। এ ছাড়া চলচ্চিত্র, নাট্যজগতের নামিদামি তারকাসহ অন্য পেশার নারীরাও পিছিয়ে নেই। এর অনেকেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরাসরি ভোটযুদ্ধে অংশ নিতে দলের  মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। এবার তারা চাইছেন সংরক্ষিত আসনের নারী এমপি হয়ে সংসদে যেতে। সরাসরি নির্বাচিত ছয়জন এমপির বিপরীতে একজন নারী আসন পাওয়া যায়। এবার আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৫৭ আসন পেয়েছে। সে হিসাবে ৪৩টি নারী আসন পাবে দলটি। অন্যদিকে জাতীয় পার্টি পেয়েছে ২২টি আসন। তারা পাবে ৪টি। বিএনপি শপথ গ্রহণ করলে ১টি আসন পাবে। 

আগামী ৩০ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অধিবেশন বসার সাত দিনের মধ্যেই সংরক্ষিত নারী আসনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছেন। প্রথম অধিবেশনেই সংরক্ষিত নারী আসনের এমপিরা যোগ দেবেন বলে জানা গেছে।  জানা গেছে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেসব নারী এমপি ছিলেন তারা চাইছেন পদটি ধরে রাখতে। আর নতুনরা চাইছেন যোগ্যতাবলে নিজেদের জায়গা করে নিতে। দলের এক সূত্র জানিয়েছেন, গত মেয়াদে যারা সংরক্ষিত আসনে এমপি হয়েছিলেন তাদের বড় অংশই বাদ পড়ছেন। তদবিরবাজি, বিতর্কিত হওয়া ও অদক্ষতার কারণে তাদের বাদ দেওয়া হচ্ছে। নিজস্ব জরিপ ও বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে বিস্তারিত খোঁজখবর নিচ্ছেন সরকারপ্রধান। শুধু গ্ল্যামার নয়, যোগ্যতার ভিত্তিতেই নারী আসনে মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। 

সূত্র জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের মন্ত্রিসভার মতোই সংরক্ষিত নারী আসনে চমক দিতে চান। সে কারণে ক্লিন ইমেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী, জেলা পর্যায়ে ত্যাগী নেত্রীদের স্থান দিতে চান প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে প্রতিবারের মতো এবারও অন্য পেশার আলোকিত নারীরা সংরক্ষিত আসনের এমপি হয়ে সংসদে ঢুকতে চাইছেন। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে ইঙ্গিত দিয়েছেন দলীয় প্রধান। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য নারী নেত্রীরা গণভবনে যাওয়া-আসা বাড়িয়ে দিয়েছেন। দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগের নেত্রী ছাড়াও জেলার নেত্রীরাও এখন ঢাকায়। এমপি হবেন, এমন আশায় তারা ছুটে চলেছেন। ২০০১ সাল-পরবর্তী বিএনপি-জামায়াতের হয়রানির শিকার এবং রাজনীতিতে ত্যাগের বিষয়টি সামনে আনার চেষ্টা করছেন তারা। গত কয়েকদিন গণভবন, আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির কার্যালয়ে এমন চিত্রই চোখে পড়েছে। 

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহম্মদ ফারুক খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, অতীতে যারা দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন, রাজনীতিতে অবদান রয়েছে, তাদেরই স্থান দেবেন দলীয় সভাপতি। ত্যাগী ও যোগ্য ব্যক্তিদেরই বেছে নেবেন প্রধানমন্ত্রী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগ সম্পাদকম লীর একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, কোনো বিতর্কিতকে স্থান দেওয়া হবে না। তারুণ্যকে প্রাধান্য দিয়ে একঝাঁক নতুন মুখ আসবে এবারের সংরক্ষিত নারী আসনে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.