দেশের প্রথম নারী শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শিক্ষিকার মেয়ে
ঢাকা: নারীশিক্ষার প্রসারের ক্ষেত্রে অবিস্মরণীয় অবদান রেখেছিলেন বেগম রোকেয়া। ‘নারী জাগরণের অগ্রদ্রুতের’ দেশে এই প্রথম শিক্ষামন্ত্রী হলেন কোনও নারী। আর সে মহান দায়িত্ব সুচারুভাবে পালনের শপথ নিলেন ডা. দীপু মনি। সুশিক্ষিত এই নারীর মা ছিলেন একজন শিক্ষিকা।
আজ সোমবার বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে বঙ্গভবনে নতুন সরকারের মন্ত্রীসভার শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
ডা. দীপু মনি তৃতীয়বারের মতো তিনি চাঁদপুর-৩ আসনের এমপি নির্বাচিত হয়েছেন একাদশ জাতীয় নির্বাচনে। এর আগে নবম জাতীয় সংসদে তিনি সফলভাবে পালন করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব। তবে এবার তার মাধ্যমে স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর দেশ একজন নারীকে শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে পাচ্ছে। সেই সাথে বাংলাদেশের ইতিহাসে যুক্ত হচ্ছে নতুন এক অধ্যায়।
ছয়ের দশকের মাঝামাঝি ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ এবং শিক্ষিকা রহিমা ওয়াদুদের ঘর আলোকিত করে জন্ম নেন দীপু মনি। শিক্ষিকা মায়ের মতো তিনি নিরহংকার ও সদালাপী। সবার কাছে ‘দীপু আপা’ নামেই বেশি পরিচিত তিনি। তাই তো সাধারণ মানুষের সঙ্গে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে নিজের ভোট দিয়েছেন। গড়েছেন ইতিহাস। তার সেই ছবি মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে।
১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলে নারীর ক্ষমতায়ন শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতায় নারীরা এগিয়ে চলছে দুর্বার গতিতে। যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ডা. দীপু মনি। মেঘনা নদীর ভাঙন থেকে চাঁদপুর সদর, হাইমচরের বিশাল জনগোষ্ঠীকে রক্ষার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। শতভাগ বিদ্যুতায়নের ফলে চাঁদপুরের চরাঞ্চলগুলোর মানুষ আলোর সন্ধান পেয়েছে। সাধারণের মতো জীবনযাপন করে আপন করে নিয়েছেন সবাইকে। কোনও বাধাই তাকে আটকাতে পারেনি। তাই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে চাঁদপুরবাসী বেছে নিয়েছেন দীপু মনিকে।
ডা. দীপু মনি ছিলেন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। হয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। দলের অন্যতম মুখপাত্র হিসেবে সারাদেশে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনাম কুড়িয়েছেন। তরুণ প্রজন্মের কাছে প্রিয় নেত্রী হতে পেরেছেন তিনি।