কিশোরগঞ্জে সৈয়দ আশরাফের দ্বিতীয় জানাজা শেষে মরদেহ ময়মনসিংহের পথে

298

নিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।

এসময় মুক্তিযুদ্ধের বীরসেনানী সৈয়দ আশরাফের নামাজে জানাজায় অংশ নিতে মাঠে জনসমুদ্রে পরিণত হয়।তার জানাজায় অংশ নেওয়ার জন্য সকাল থেকেই শোলাকিয়া ময়দানে জনসমাগম বাড়তে থাকে। বেলা ১২টা নাগাদ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় শোলাকিয়া মাঠ। জানাজার পরে সৈয়দ আশরাফকে শেষ শ্রদ্ধা জানান তারা।   প্রিয় নেতার স্মরণে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের সব দোকান-পাট বন্ধ রয়েছে আগে থেকে। কালো ব্যাজ ধারণ করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ আশরাফের শুভানুধ্যায়ীরা।

দ্বিতীয় জানাজার পর সৈয়দ আশরাফের মরদেহ তার জন্মস্থান ময়মনসিংহে নেয়া হচ্ছে। সেখানে আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে তৃতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে মরদেহ ঢাকায় নিয়ে এসে বাদ আছর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

এর আগে, রবিবার বেলা ১১টার পর লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি কিশোরগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়।শেষবারের মতো নিজ জেলা কিশোরগঞ্জের গেলেন তিনি।

এরআগে, সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের  প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে উপস্থিত রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, চীফ হুইপ আসম ফিরোজ, মন্ত্রী, আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং সর্বস্তরের হাজারো মানুষ অংশ নেন।

এসময় আওয়ামী লীগের এই বর্ষীয়ান নেতাকে গার্ড অব অনার প্রদানের পর প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও আওয়ামী লীগ নেতারা তার কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে  সৈয়দ আশরাফের মরদেহে তিনি শ্রদ্ধা জানান। পরে শ্রদ্ধা জানান তার রাজনৈতিক সহযোদ্ধা, সহকর্মী এবং ভক্ত-অনুরাগীরা।

এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে করে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ ব্যাংকক থেকে ঢাকায় আনা হয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মরদেহ গ্রহণ করেন।

বিমানবন্দর থেকে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ বেইলি রোডের সরকারি বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আশরাফের মরদেহ রাতে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়।

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ আশরাফ দীর্ঘদিন ফুসফুস ক্যান্সারে ভুগে বৃহস্পতিবার রাতে থাইল্যান্ডের এক হাসপাতালে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।

গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে টানা পঞ্চমবারের মতো সাংসদ নির্বাচিত হন সৈয়দ আশরাফ। এর আগে ওই আসন থেকে ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন তিনি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.