দেশের মানুষ আমার সবচাইতে বড় শক্তি: লেটস টকে প্রধানমন্ত্রী
রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা তরুণদের করা এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘দেশের মানুষ আমার সবচাইতে বড় শক্তি। মানুষ আমাকে যেভাবে ভালোবাসে এবং আমার বাবাকে যেভাবে ভালোবেসেছে তার প্রতিদান দেয়ার জন্যই সারাক্ষণই কাজ করি।
দেশের মানুষ যাতে ভালো থাকে সুন্দর থাকে সে কারণে আমরা জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করার কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলাম এবং তাতে সফল হয়েছি।
পূর্বে ধারণকৃত তরুণদের সঙ্গে ‘লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় অনুষ্ঠানে দেশের তরুণদের স্বপ্ন, আশা ও প্রত্যাশার কথা শুনেন প্রধানমন্ত্রী এবং তাদের কাছে নিজের মতামত তুলে ধরেন।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এ মতবিনিময় অনুষ্ঠানটি আয়োজিত করেন।
রাত সাড়ে ৮টায় বিটিভি, মাছরাঙা, আরটিভি, ডিবিসি নিউজ, চ্যানেল ২৪, গাজী টিভি, চ্যানেল আই, এটিএন নিউজ ও সময় টিভিতে অনুষ্ঠানটি দেখানো হয়।
অনুষ্ঠানটি একই সময়ে সিআরআই ও ইয়ং বাংলাসহ বিভিন্ন সংবাদপত্র, নিউজ পোর্টাল ও প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেজ থেকে স্ট্রিমিং করানো হয়। যার মধ্যে ছিলো ইত্তেফাক, কালের কণ্ঠ, সমকাল, যুগান্তর, বিডিনিউজ২৪, সারাবাংলা, বাংলা ট্রিবিউন, বাংলানিউজ২৪, বাংলাদেশ প্রতিদিন, বিডি মনিং, ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি), বার্তা২৪ ও রেডিও ঢোল।
তরুনদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তার খুব শখ ছিল ডাক্তার হওয়ার। কিন্তু অংকে খুব ভালো ছিলাম না। যে কারণে নবম শ্রেণিতে গিয়ে মানবিক বিভাগে ভর্তি হলাম। তখনই ডাক্তারি পড়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল। এরপরে মনে করলাম লেখাপড়া শেষ করে শিক্ষক হবো। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করবো এবং ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের শিক্ষা দেবো। সেটাও হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমি তো জীবনকে উৎসর্গ করেছি দেশের মানুষের জন্য। যতক্ষণ আমার শ্বাস আছে ততক্ষণ দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাবো। আমি মাত্র পাঁচ ঘণ্টা ঘুমাই। বাকি সমস্ত সময় দেশের মানুষের জন্য কাজ করি। ’
নিজের স্বাস্থ্য ঠিক রাখা প্রসঙ্গে অন্য এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন,নিয়মিত নামাজ পড়ি। সকালে ঘুম থেকে উঠে হাঁটাচলা করি। আসলে গণভবণে থাকাটা বন্দী জীবনের মতই। ইচ্ছা করলেই যেখানে খুশি সেখানে যখন তখন যেতে পারি না। আর খাবারের বিষয়টি পরিমিত খেতে পারলে আমার ভালো লাগে। খাওয়া নিয়ে আমার কোনো বাছাবাছি নেই। সবই খেতে পারি। আমি কীভাবে ভালো থাকব এ চিন্তা করে আমাকে চলতে হয়।
তরুণদের সঙ্গে প্রাণবন্ত আলাপনের ওই অনুষ্ঠানে এত পরিশ্রমের মাঝে শরীরকে কিভাবে ঠিক রাখছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের জীবনে রুটিন ঠিক থাকে না। তবে ফিট থাকতে- আমি নামাজ পড়ি নিয়মিত। ”
তিনি বলেন, “তেমন ব্যায়াম করার সুযোগ হয় না। আর গণভবনে থাকা বন্দিজীবনের মতন। তারপরও চেষ্টা করি সকালে উঠে একটু হাঁটতে। ছাদে হাঁটি। ”
শেখ হাসিনা বলেন, “পরিমিতভাবে খেলে সুস্থ থাকা যায়। আর চিন্তা-ভাবনাকে সচ্ছ রাখা এবং সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ আমি সুস্থ্য থাকব এটা ভাবা। ”
তরুণদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোনেন তরুণদের স্বপ্নের কথাও।
রান্নাঘরের কথা থেকে শুরু করে, কৈশরের দুরন্তপনা, স্কুলজীবনের মজার ঘটনা, মায়ের কাছে আবদার মেটানোর কৌশল, পারিবারিক ট্র্যাজেডি, বাধার পর বাধা ডিঙিয়ে এগিয়ে চলার গল্পসহ প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে শেখ হাসিনার ব্যক্তি ও রাজনৈতিক জীবনের নানা অজানা কথা উঠে এসেছে লেট’স টক অনুষ্ঠানে।
দেশ ও জনগণকে নিয়ে তরুণদের স্বপ্ন ও পরিকল্পনা, তারা প্রধানমন্ত্রী হলে কী করবে সেসব কথাও শোনেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
এর আগে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের গবেষণা সংস্থা সিআরআই গত ২৩ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সাথে তরুণদের এ মতবিনিময় অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছিল।
এদিকে সিআরআই আরও জানিয়েছে, তাদের ডকুড্রামা ‘হাসিনা: এ ডটার’স টেল’ শনিবার প্রথমবারের মতো টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা এ ডকুড্রামাটি বিকাল ৩টায় মাছরাঙা, গাজী টিভি ও চ্যানেল আইতে দেখা যাবে।