হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে মুখোশ উন্মোচন করা হবে: দুদক চেয়ারম্যান
ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামায় কেউ ভুল তথ্য দিয়ে থাকলে দুদক তার জন্য ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত আছে। আমরা বিশ্বাস করি, দেশের জনগণ কোনও স্বীকৃত দুর্নীতিবাজকে নির্বাচিত করবে না।
রাজধানীর সেগুন বাগিচায় নিজ কার্যালয়ে সোমবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ইকবাল মাহমুদ।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতির সমস্যাটা হিমালয় পাহাড়ের মতো হয়ে গেছে। আপনি যদি ডানে হাত দেন দুর্নীতি, বামে হাত দেন দুর্নীতি। সেজন্যই বলি, শুধু আমরা একা হইচই করলে হবে না। এতে আপনাদের লাগবে, সরকারকে লাগবে, সবাইকে লাগবে।
তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে আগ্রহী প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে মুখোশ উন্মোচন করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
‘দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে দুদক ব্যবস্থা নেবে। আর সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা নির্বাচনে অংশ নিলে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নেবে। ’
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘নির্বাচনের ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই।
নির্বাচন হচ্ছে কিনা, এটা আমাদের দেখার বিষয় না। আমরা আমাদের কাজ করে যাবো। যারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, আমরা চাইবো নির্বাচন কমিশনে তারা সঠিক সম্পদের হিসাব জমা দেবেন। ’
তিনি বলেন, আমরা চাই, একটা সুন্দর দেশ, দুর্নীতিমুক্ত একটি দেশ। আমাদের দেশের ইজ্জত যদি রাখতে চাই, তাহলে একযোগে কাজ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ভোট পেছানো সংক্রান্ত বিভিন্ন জোটের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার নির্বাচনের তারিখের পুনঃতফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
পুনঃতফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ২ ডিসেম্বর। ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে। আর ভোটগ্রহণ করা হবে ৩০ ডিসেম্বর।
এর আগে গত ৮ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি। তফসিল অনুসারে, প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের সুযোগ ছিল ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ছিল ২২ নভেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৯ নভেম্বর এবং ভোটগ্রহণ করার কথা ছিল ২৩ ডিসেম্বর।