নির্বাচনে ভোটার প্রতি সর্বোচ্চ ব্যয় ১০ টাকা
ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার প্রতি সর্বোচ্চ ব্যয় ১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে একজন প্রার্থীর সর্বোচ্চ ব্যয় ২৫ লাখ টাকা বহাল রাখা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) রাতে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এর আগে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার প্রতি ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮ টাকা
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আরপিওর ৪৪বি (৩) অনুযায়ী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি নির্বাচনি এলাকায় ভোটার প্রতি নির্বাচনি ব্যয় ১০ টাকা নির্ধারণ করা হলো। তবে শর্ত হলো যে, উক্ত নির্বাচনি এলাকার ব্যয় সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকার বেশি হবে না।
কমিশন সূত্র জানিয়েছে, দ্রব্যমূল্যসহ দেশের সার্বিক ব্যবস্থা বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশন ভোটার প্রতি সর্বোচ্চ ব্যয় নির্ধারণ করে থাকে। তবে ভোটার যতই বেশি হোক না কেন প্রার্থীর মোট ব্যয় ২৫ লাখের বেশি হতে পারবে না।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, কোনও আসনে দুই লাখের কম ভোটার আবার কোথাও সাত লাখের বেশি ভোটার রয়েছে। কিন্তু ভোটার সংখ্যা যাই ই হোক না কেন, গণপ্রতিনিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (আরপিও)-এ একজন প্রার্থীর সর্বোচ্চ ব্যয় ২৫ লাখ টাকা নির্ধারিত রয়েছে। আসনভিত্তিক সর্বনিম্ন ভোটার সংখ্যা বিবেচনা রেখে ভোটার প্রতি ১০ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইসির সর্বোচ্চ ব্যয়ের নির্দেশনা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সর্বোচ্চ ব্যয় ২৫ লাখ নির্ধারিত থাকলেও এবার দেশের সব থেকে কম ভোটারের (১৭৮৭৮৫ ভোট) আসন ঝালকাঠি-১ এর এক জন প্রার্থী মোট ১৭ লাখ ৮৭ হাজার ৮৫০ টাকার বেশি ব্যয় করতে পারবেন না।
আবার ভোটার প্রতি সর্বোচ্চ ব্যয় ১০ টাকা নির্ধারণ হলেও দেশের সব থেকে বেশি ভোটারের আসন (৭৪৭৩০১ ভোট) ঢাকা-১৯ এর ভোটার প্রতি সর্বোচ্চ ব্যয় করা যাবে ৩ টাকা ৩৫ পয়সা।
এদিকে গতকালই (বৃহস্পতিবার, ৮ নভেম্বর) একাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি জানান, আগামী ২৩ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া তফসিল অনুসারে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিরা মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত। ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে। আর প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ৩০ নভেম্বর।
তফসিল ঘোষণার সময় সিইসি সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। এ সময় তিনি সংবিধান ও আইনের আলোকে দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমুলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন।